মিজানুর-জুনায়েদের ব্যাটে জয়ে ফিরল ব্রাদার্স

রাজা আলী দারের বলে আব্দুর রাজ্জাককে ক্যাচ দেয়ার আগে ১১৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মিজানুর ১০৮ রান করে ফিরলে ভাঙে ১৬১ রানের বড় জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে মাহমুদ রাব্বীর সঙ্গে ৯৩ রানের আরেকটি বড় জুটিতে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান জুনায়েদ

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক জয়ের জন্য ব্রাদার্স ইউনিয়নের দরকার ১১ রান, সেঞ্চুরির জন্য জুনায়েদ সিদ্দিকের প্রয়োজন ৮। কিন্তু সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না ৩১ বছর বয়সি এ ব্যাটসম্যান। আউট হয়ে গেলেন ৯২ রানেই। জুনায়েদের আক্ষেপের আগে ঠিকই সেঞ্চুরি পেয়েছেন তার ওপেনার সঙ্গী মিজানুর রহমান। এই দু'জনের দারুণ ব্যাটিংয়ে নবাগত উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে সহজেই হারিয়ে জয়ে ফিরেছে ব্রাদার্স। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচটি ব্রাদার্স জিতেছে ৮ উইকেটে। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে উত্তরা করেছিল ২৬৪ রান। ব্রাদার্স সেটি পেরিয়ে যায় ১০ বল বাকি থাকতে। এদিকে প্রথমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে দলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। রবিউল ইসলাম রবি পরে হাত ঘুরিয়ে নিলেন দুই উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দারুণ এক জয় পেল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে নবাগত বিকেএসপিকে ২৭ রানে হারিয়েছে খেলাঘর। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে খেলাঘর করেছিল ২১২ রান। জবাবে বিকেএসপি থামে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানে। আর গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। মিরপুরে চতুর্থ রাউন্ডে গাজী গ্রম্নপকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। বুধবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় উত্তরা। উদ্বোধনী জুটিতে ১০২ রান যোগ করেন তানজিদ হাসান ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ইমন ৭২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর তানজিদ ৯৫ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় করেন ৭৫। দুজন শরীফউলস্নাহর পরপর দুই ওভারে বোল্ড হন। এরপর উত্তরার স্কোর দুইশ পার হয় মোহাইমেনুল খান ও রাজা আলী দার ৬২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে ৫ উইকেট হারানোয় উত্তরার সংগ্রহটা বেশি বড় হয়নি। মোহাইমেনুল ৫১ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৬৪ ও রাজা করেন ১৯ রান। লক্ষ্য তাড়ায় মিজানুর ও জুনায়েদের শতরানের জুটিতে ভালো সূচনা পায় ব্রাদার্স। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মিজানুর ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৩ বলে, আর এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ১০৭ বলে। সেঞ্চুরির পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি মিজানুর। রাজা আলী দারের বলে আব্দুর রাজ্জাককে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১১৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মিজানুর ১০৮ রান করে ফিরলে ভাঙে ১৬১ রানের বড় জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে মাহমুদ রাব্বীর সঙ্গে ৯৩ রানের আরেকটি বড় জুটিতে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান জুনায়েদ। এরপরই তিনি সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়েন ক্যাচ দিয়ে। ফজলে মাহমুদ দলকে জিতিতেই মাঠ ছাড়েন। ম্যাচসেরা হয়েছেন মিজানুর। ফতুলস্নার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানেই সাদিকুর রহমানের উইকেট হারায় খেলাঘর। দ্বিতীয় উইকেটে রবি ও অঙ্কন গড়েন ১২০ রানের বড় জুটি। অঙ্কন ৮৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪৯ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। খানিক বাদে রবি ফেরেন ৭৫ রানে। ১১৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় তিনি ইনিংসটি সাজান। এরপর মিডল অর্ডারে কেউ ভালো করতে পারেননি। লেট অর্ডারে রবিউল হকের অপরাজিত ১৯ রানের সুবাদে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পায় খেলাঘর। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বিকেএসপির সেরা বোলার হাসান মুরাদ। ৩১ রানে ২ উইকেট নেন শামীম হোসেন। লক্ষ্য তাড়ায় ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বিকেএসপি। মিডল অর্ডারে শামীম লড়াই করেছিলেন। কিন্তু শামীম ফিফটি করে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার পরই ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় তারা। শেষ দিকে সুমন খানের অপরাজিত ২৪ রান শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমায় বিকেএসপির। শামীম ৮৮ বলে ৪ চারে করেন সর্বোচ্চ ৫৬ রান। রবি অফ স্পিনে ৭ ওভারে ২৮ রানে নেন ২ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন রবিউল হক, ইফরান হোসেন এবং মাসুম খানও। মাসুম ১০ ওভারে ৩০, রবিউল ১০ ওভারে ৪১ ও ইফরান ১০ ওভারে দেন ৩৬ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন রবিউল ইসলাম রবি।