স্বাধীনতা কাপ ফুটবল

সেমিতে মোহামেডান আবাহনীর সঙ্গে বসুন্ধরা

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে স্বাধীনতাকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সেনাবাহিনীকে হারিয়ে দেওয়ার পর বসুন্ধরার ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস -বাফুফে
স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে সেনাবাহিনী ফুটবল দলকে ২-১ গোলে হারায় বসুন্ধরা। একই দিনে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে যোগ করা সময়ে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার মোজাফফরভের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে (১-০)তে হারিয়ে শেষ চারে নাম লেখায় মোহামেডান। এর আগে আবাহনী লিমিটেড ও রহমতগঞ্জ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। ১৫ ডিসেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে মোহামেডান খেলবে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। একই দিনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ঢাকা আবাহনী খেলবে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। মঙ্গলবার বসুন্ধরা অ্যারেনাতে ম্যাচের ৯ মিনিটে বা প্রান্তে শেখ মোরসালিনের কর্নারে উড়ে আসা বল বক্সে পেয়ে হেড নিয়েছিলেন ববুরবেক। তবে অল্পের জন্য মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। ১৮ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন সোহেল রানা। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। জটলার মধ্যে থেকে বল পেয়ে যান রাকিব। ডান পায়ে কোনাকুনি শটও নেন, তবে লক্ষ্যে পাঠাতে পারেননি। ৩৬ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ফুটবলার মাহবুব বল নিয়ে এগিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সতীর্থের উদ্দেশ্যে। তবে ইমতিয়াজ বল রিসিভ করার আগেই ক্লিয়ার করেন বসুন্ধরার ডিফেন্ডাররা। পরের মিনিটেই প্রায় মাঝ মাঠ থেকে মিগেল দামাসেনার স্পট কিকে বক্সের ডান প্রান্তে বল পেয়ে শট নেন মোরসালিন। তবে বল সেনাবাহিনীর এক ফুটবলারের গায়ে লেগে ফেরত আসায় নিশ্চিত গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় বসুন্ধরা। ৩৮ মিনিটে ডান প্রান্তে কর্নার থেকে মিগুয়েলের বা পায়ে মাপা ক্রস বক্সে পেয়ে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ববুরবেক (১-০)। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+৩ মিনিটে) বক্সের বাইরে থেকে মোরসালিনের দূরপালস্নার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধে গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। তাই এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বসুন্ধরা। ৫০ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর শাহরিয়ার ইমনের ক্রস বক্সে ক্লিয়ার করেন ববুরবেক। ৫৩ মিনিটে মিগুয়েল দামাসেনার ক্রস বক্সে পেয়ে হেড নেন রাকিব। তবে অল্পের জন্য বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ৫৭ মিনিটে মোরসালিনের স্পটকিক বক্সে ক্লিয়ার হয়। ৬১ মিনিটে দর্শনীয় শটে বসুন্ধরার জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচে সমতা আনেন সেনাবাহিনীর ফুটবলার শাহরিয়ার ইমন (১-১)। ৭৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পাঠান রাকিব। বল বুঝে নিয়ে বক্সে পাস করে দেন সাদ উদ্দিন। বল পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন ডরিয়েলটন (২-১)। আবারও এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। আর এই গোলেই জয় নিশ্চিত করে সেমিতে নাম লেখায় কিংস। অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জে ম্যাচের প্রায় পুরো সময়জুড়ে ছিল মোহামেডানের আধিপত্য। তার পরেও চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে কোনোভাবে গোল আসছিল না। অমীমাংসিত থাকে ৯০ মিনিটের খেলা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ৯৭ মিনিটে মোহামেডান ডেডলক ভাঙে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকে বুলেট গতির শটে মোজাফফরভ জাল কাঁপান। চট্টগ্রাম আবাহনী গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও দলকে গোল হজম থেকে রক্ষা করতে পারেননি।