জার্মানিকে রুখে দিল সার্বিয়া

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
জার্মানির ভলফসবুর্কে বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে লেয়ন গোরেটস্কারের গোলে হার এড়িয়ে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জোয়াকিম লোর দল -ওয়েবসাইট
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। স্বাভাবিকভাবেও খাতা-কলমে সার্বিয়ার চেয়ে বেশ এগিয়ে জার্মানি। কিন্তু ঘরের মাঠে সেই দলটিই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হোঁচট খেল। যদিও রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর টমাস মুলার, ম্যাটস হুমেলস ও জেরমে বোয়েটাংয়ের মতো অভিজ্ঞদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। আর তাই আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে নতুন দল নিয়ে খুব একটা দাপট দেখাতে পারল না সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ভলফসবুর্কে বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে জার্মানিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে সার্বিয়া। ম্যাচের শুরুতে লুকা ইয়োভিচের গোলে স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন লেয়ন গোরেটস্কা। আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ বলেই এদিন জোয়াকিম লো একটু বেশিই পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়েছে জার্মানির। যে কারণে টমাস মুলার, মাটস হুমেলস ও জেরোমে বোয়াটেং ও টনি ক্রুসকেও দলের বাইরে রাখেন তিনি। সব মিলিয়ে সবশেষ ম্যাচের একাদশে ছয়টি পরিবর্তন এনে মাঠে নামা জার্মানির শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও দ্বাদশ মিনিটে গোল খেয়ে বসে তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ছোট ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের ফরোয়ার্ড ইয়োভিচ। ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ পায় জার্মানি। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও টিমো ভেরনার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। এদিকে ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে ভেরনারের আরেকটি শট রুখে দেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ। তাতে স্বাগতিকরা দারুণ হতাশ হয়ে পড়ে। বিরতির পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। যে কারণে শুরুতেই তিনটি পরিবর্তন করেন লো। এরপরই দলটির চিত্র বদলে যায়। তাইতো টানা আক্রমণ করতে থাকা স্বাগতিকরা অবশেষে ৬৯তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়। রয়েসের পাস ডি-বক্সে ঢুকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার মাঝে এক জনকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার গোরেটস্কা। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে লেরয় সানেকে বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সার্বিয়ার ফরোয়ার্ড মিলান পাভকোভ। তাতে দশ জনের দলে পরিণত হয় অতিথিরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। আর তাই ঘরের মাঠে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় জোয়াকিম লোর শিষ্যদের।