মুস্তাফিজের নতুন ইনিংস শুরু

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিয়ের আসরে বসার ঠিক আগ মুহূর্তে বাবা-মার সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান -ওয়েবসাইট
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ। সময় তখন দুপুর আড়াইটা। প্রাইভেটকার থেকে ঘিয়া রঙের শেরওয়ানি পরা স্বপ্নের বর নামলেন। চোখেমুখে হাসির বন্যা। বরের নাম মুস্তাফিজুর রহমান। দ্য 'ফিজ খ্যাত' কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের বিয়ে বলে কথা। কনের বাড়িতে আগে থেকেই চলছিল সাজ সাজ রব। আত্মীয়স্বজনের কমতি ছিল না। বাদ পড়েনি মুস্তাফিজের বাড়িও। সেখানেও ক্ষীর খেলেন কাটার মাস্টার। বরযাত্রী বহরের সঙ্গে সঙ্গে মুস্তাফিজ তার বাবা আবুল কাসেম আর মা মাহমুদা খাতুনকে নিয়েই পৌঁছলেন কনে সুমাইয়া পারভিন শিমুর বাড়িতে। বরকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির দোতলায়। সেখানে একটি কক্ষে অপেক্ষমাণ সবাই। সময় তখন ৩টা ছুঁই ছুঁই। মুস্তাফিজের মাথায় উঠল টোপর। বিবাহ রেজিস্ট্রার দেবহাটার নোয়াপাড়ার কাজী আবুল বাসার তখনও অপেক্ষায়। অনুমতি নিয়ে অবশেষে কলেমা পড়ালেন মুস্তাফিজ-শিমু দম্পতিকে। রেজিস্ট্রি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করালেন। সাক্ষী হলেন কাটার মাস্টারের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু। আর উকিল রবিউল ইসলাম ও আজিজুর রহমান। পাঁচ লাখ এক টাকার দেনমোহরে বাঁধা পড়লেন মুস্তাফিজুর রহমান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া পারভিন শিমু। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান কোনো সাংবাদিক উপভোগ করতে পারেননি। পরিবারের লোকজন জানান 'একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিকভাবে শেষ করা হয়েছে এই বিয়ে। এরপর ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হবে বিশ্বকাপের পর। তখন জানানো হবে সবাইকে। মুস্তাফিজের স্বপ্নের রানি তার মামাতো বোন শিমু। ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউলস্নাহ কলেজ থেকে এ পস্নাস পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে তিনি গোল্ডেন এ পস্নাস পেয়ে পাস করেন এসএসসি। বরের বাড়ি কালিগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে জনা চলিস্নশেক বরযাত্রীর বহর এসেছিল মাইক্রো প্রাইভেট আর মোটরসাইকেলে। গন্তব্যস্থল দেবহাটা উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের হাদিপুর এলাকার জগন্নাথপুর গ্রাম। সেখানেই অপেক্ষায় ছিলেন কনে শিমু। আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হলো তাদের বিয়ে। এরপর মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত হলেন আমন্ত্রিতরা।