এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই ২০২০

বাংলাদেশের শক্ত প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাহরাইনে অলিম্পিক বাছাই ফুটবলে রোববার ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে শনিবার হোটেলের সুইমিংপুলে নামেন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা -বাফুফে
এএফসি অনূর্ধ্ব ২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০ এর বাছাইপর্বে শুরুটা খুব ভালো হয়নি বাংলাদেশের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে রুখতে পারেনি বাংলাদেশ। গত শুক্রবার রাতে লড়াই করে ১-০ গোলে স্বাগতিকদের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। যে হারে গ্রম্নপপর্ব টপকানোর সম্ভাবনা উবে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। গ্রম্নপের অন্য দুই দল ফিলিস্তিন ও শ্রীলংকা। রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিধর ফিলিস্তিন। বাহরাইনের ইসা টাউনের খলিফা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের 'বি' গ্রম্নপের এ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়। চারদলের গ্রম্নপে দুই ফেভারিটের একটি ফিলিস্তিন। এএফসির এই যুব টুর্নামেন্ট হয়ে আসছে ২০১২ সাল থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ কখনোই গ্রম্নপ পর্বটা পেরুতে পারেনি। মোট ১১টি ম্যাচ খেলে একটিতে জয় পায়নি বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করতে পারাটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সব থেকে বড় সাফল্য। তবে এবার গ্রম্নপে শ্রীলংকা থাকায় প্রথম জয় পাবার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু তার আগে ফিলিস্তিন বাধা তো পেরোতে হবে। যেই ফিলিস্তিন নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারিয়েছে ৯-০ গোলের ব্যবধানে। শ্রীলংকাকে বড় ব্যবধানে হারানোর মধ্যে দিয়ে তারা জানান দিয়েছে, থাইল্যান্ডের টিকিট পাওয়ার অন্যতম দাবিদার তারা। ফিফার্ যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৯২) চেয়ে ৯২ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের (১০০) সঙ্গে কুলিয়ে ওঠা কঠিন হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের জন্য। বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বলেছেন, 'গ্রম্নপে ফিলিস্তিন এবং বাহরাইন অবশ্যই সেরা দল। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়াই করাটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কিন্তু আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি। এই ম্যাচে কিছু অর্জনের প্রত্যাশায় আমরা নিজেদের সেরাটাই দেব।' এই তো গত বছর, ১০ অক্টোবর কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিন নিজেদের শক্তি প্রমাণ করে গেছে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে। ঢাকা থেকে ট্রফিও নিয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটি। জাতীয় দলের লড়াইয়ে আগেও তিনটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন। ২০০৬ সালে ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল দুই দেশের প্রথম সাক্ষাৎটি। ২০১১ সালে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফিলিস্তিন এবং ২০১৩ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি জিতেছিল ১-০ গোলে। দুই দেশের অলিম্পিক ফুটবল দল আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৭ সালে ফিলিস্তিনের হেবরনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রম্নপ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফুটবল উপহার দিচ্ছে বাংলাদেশের ছেলেরা। হারার আগে হার না মানার মানসিকতা নিয়েই ফিলিস্তিনের বিপক্ষেও খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে খেলতে যাবার আগে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতিম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এরপর কাতারে দশদিনের ক্যাম্প ও দুটি প্রীতিম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের যুবারা। যেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে তারা। তার একটিতে জয় এবং অন্যটিতে ড্র করে বাহরাইনে বাছাইপর্বে অংশ্রগহণ করতে যায় তারা। রোববার সন্ধ্যায় দুই দেশের লড়াইয়ে ফিলিস্তিনই পরিষ্কার ফেভারিট। তবে প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াইটা জেমি ডে'র শিষ্যদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের কাছে হার এড়াতে পারাটাও হবে অন্যরকম সাফল্য। এএফসির এই বাছাই পর্বটি একই সঙ্গে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকেরও বাছাই। বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসবে ১৫টি দল খেলবে ২০২০ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে। যেটি অনুষ্ঠিত হবে থাইল্যান্ডে। ২৬ মার্চ শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের যুবারা।