জহুরুলের ব্যাটে আবাহনীর জয়

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রোববার ডিপিএলের খেলায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমান জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন -বিসিবি
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মাঝে লড়াইটা হলো একপেশে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ডিপিএলের খেলায় জহুরুল হক অমির ব্যাটে মোহামেডানকে সহজেই হারিয়েছে আবাহনী। ২৪৯ রানের লক্ষ্য আকাশি-নীলরা টপকে যায় ৬ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখে। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা জহুরুল এদিন আউট হন ৯৬ করে। এ ওপেনার আবাহনীকে জয়ের খুব কাছে রেখে শাহাদাত হোসেন রাজিবের বলে বোল্ড হলে আরেকটি সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপে পোড়েন। ওপেনিং জুটিতে সৌম্য সরকারকে নিয়ে জহুরুল যোগ করেন ১০৫ রান। ওই ভিত্তিই আবাহনীকে নিয়ে যায় জয়ের দিকে। ৪৩ করে সৌম্য সাজঘরে ফেরেন শাহাদাতের বলে বোল্ড হয়ে। তিনে নামা আবাহনীর ভারতীয় রিক্রুট ওয়াসিম জাফর ৩৮ করে আউট হন শফিউল। আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৫ ও সাব্বির রহমান ২১ রানে অপরাজিত থেকে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলে লং অন দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মেরে খেলার শেষ টানেন সাব্বির। সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডানের শুরুটা মন্দ ছিল না। এবারের ঢাকা লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস ও আব্দুল মজিদ ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৪০ রান। চার বাউন্ডারিতে ২৭ করে লিটন আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। সাদা-কালো শিবিরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরের ৫৭ ও অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ৫১ রানে ভর মাঝারি পুঁজির দিকে আগায়। শেষদিকে চতুরাঙার ৩২ ও সোহাগ গাজীর ২০ বলে ২৭ রানের ইনিংসে আড়াইশর (২৪৮) কাছে যেতে পারে মোহামেডান। চোট কাটিয়ে ফেরা ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ২৯ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগের ম্যাচে টুর্নামেন্টে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে করেছিলেন লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৩৭ রান। মেহেদী মারুফ সেঞ্চুরি করলেন পরের ম্যাচেও। তার সঙ্গে শতরানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পথে ফিফটি করলেন মোহাম্মদ নাঈম। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৬ষ্ঠ রাউন্ডে খেলাঘরকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। আগে ব্যাট করতে নেমে খেলাঘর ৩ উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৬৪ রান। রূপগঞ্জ সেটি পেরিয়ে যায় ৪ বল বাকি থাকতে। ৬ষ্ঠ ম্যাচে এটি রূপগঞ্জের পঞ্চম জয়। সমান ম্যাচে খেলাঘরের পঞ্চম হার। ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রূপগঞ্জকে দারুণ সূচনা এনে দেন মেহেদী মারুফ ও নাঈম। আগের ম্যাচে ডাক মারা নাঈম এবার করেন ৭২ রান। চতুর্থ উইকেটে নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ার পথে মারুফ পূর্ণ করে ন্সেঞ্চুরি। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এলবিডবিস্নউ হওয়ার আগে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ রান করেন ম্যাচসেরা হওয়া ব্যাটসম্যান। ফতুলস্নায় শামসুর রহমান শুভ (৮১) ও মেহেদী হাসান (৬০) দুই ফিফটিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্সকে লড়াইয়ের আশপাশেও নিতে পারলেন না। নুরুল হাসান সোহান (৭৯*) ও আসিলা গুনারত্নের (৭৯) শতরানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রানের সংগ্রহ গড়ে শেখ জামাল। জবাব দিতে নেমে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রম্নপ। শেখ জামাল ১৮ বল হাতে রেখে ৪৩ রানের জয়ে মাঠ ছাড়ে। এটি শেখ জামালের ষষ্ঠ ম্যাচে তৃতীয় জয়। আর সমান ম্যাচে গাজী গ্রম্নপের চতুর্থ হার।