সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
একপেশে লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নোভাক জোকোভিচ যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে রেকর্ড ২৫তম গ্র্যান্ড সস্নাম জেতার পথে আছেন তিনি। ফরাসি ২০তম বাছাই আদ্রিয়ান মানারিনোকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই। নিশ্চিত করেছেন কোয়ার্টার ফাইনাল। তিন সেটেই জোকোভিচের আধিপত্য ছিল একপেশে। রোববার ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিটের লড়াইয়ে ৬-০, ৬-০, ৬-৩ গেমে জিতেছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সি পরবর্তী রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন ১২তম বাছাই টেইলর ফ্রিটজের। যিনি গতবারের ফাইনালিস্ট স্টেফানোস সিৎসিপাসকে হারিয়েছেন। একপেশে জয়ের দিন জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অনন্য কীর্তি গড়ার পথে ছিলেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো গেম না খুইয়ে তিনটি সেট জিততে যাচ্ছিলেন। যাকে বলা হয় 'ট্রিপল বেগেল'। ১৯৯৩ সালের পর গ্র্যান্ড সস্নাম টুর্নামেন্টে এমন বিরল কীর্তি দেখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তো কখনো নয়। কিন্তু তৃতীয় সেটে খেই হারিয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তিনি। প্রথম দুই সেটে অনবদ্য থাকায় জোকোভিচ নিজেও খুব তৃপ্ত ছিলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে খেলেছি, তাতে প্রথম দুই সেট ছিল আমার সেরা।' হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান \হক্রীড়া ডেস্ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের প্রান্ত ধরে রাখা ব্যাটিংয়ের পর ঝড়ো ইনিংস খেললেন ফখর জামান। শেষ দিকে আব্বাস আফ্রিদির ক্যামিও ইনিংস রাখল ভূমিকা। তবু দেড়শ'র নিচে আটকে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে লো স্কোরিং ম্যাচে স্পিনারদের ঝলকে ওই রান নিয়েই বড় জয় পেয়েছে সফরকারী দল পাকিস্তান। ক্রাইস্টচার্চে রোববার পঞ্চম ও শেষ টি২০-তে নিউজিল্যান্ডকে ৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম চার ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই অবশ্য নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। সান্ত্বনার জয় তুলে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে হোয়াইটওয়াশ এড়াল শাহিন আফ্রিদির দল। আগে ব্যাটিং বেছে সাইম আইয়ুবের বদলে হাসিবুলস্নাহ খানকে অভিষেক করিয়েছিল পাকিস্তান। তিনি টিকেছেন ৩ বল, কোনো রান করতে পারেননি। বাবর আজম-রিজওয়ান মিলে এরপর গড়েন মন্থর জুটি। ৫৩ রানের জুটির পর ১৩ করে ফেরেন বাবর। চারে উঠে মাত্র ৩৩ করে ইনিংসের গতি আনেন ফখর। তিনি ফিরলেও রিজওয়ান আগলে রেখেছিলেন আরেক দিক। মোহাম্মদ নাওয়াজ, ইফতেখার আহমেদদের ব্যর্থতার দিনে ৩৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে শাহিবজাদা ফারহান ১৯ আর আব্বাস ১৪ করলে ১৩৪ করে পাকিস্তান। সহজ রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং আরও হতাশাজনক। রাচিন রবীন্দ্রকে শুরুতে তুলে নেন নাওয়াজ। ফিন অ্যালেন শিকার হন জামান খানের। এরপর ইফতেখার এসে অফ স্পিনে মিডল অর্ডারে হানা দিলে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাগতিকরা। অ্যালেন ২২, টিম সেইফার্ট ১৯, উইল ইয়ং ১২ আর গেস্নন ফিলিপস করেন ২৬। কেউই ইনিংস টানতে না পারায় হুড়মুড়িয়ে ধসে যায় কিউইরা। পাকিস্তানের সেরা বোলার ইফতেখার। ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। সৌদি আরবে হাঁপিয়ে উঠছেন ফুটবলাররা ম ক্রীড়া ডেস্ক এই তো দু'দিন আগেই সৌদি প্রো লিগ ছেড়ে আয়াক্সে যোগ দিয়েছেন জর্ডান হেন্ডারসন। এই লিগ ছাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন করিম বেনজেমাও। এরমধ্যেই আবার সৌদি আরবে ফুটবলারদের অসন্তুষ্টির কথা জানালেন আল-নাসরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ আইমেরিক লাপোর্তে। অনেক ফুটবলারই 'সুখে নেই' বলে দাবি করেছেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। বিশাল অংকের বেতন ভাতার লোভে গত বছর থেকেই অনেক ফুটবলার পারি দিচ্ছেন সৌদি আরবে। সে ধারায় গত আগস্টে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আল-নাসরে যোগ দেন লাপোর্তেও। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো অসন্তুষ্টির কথা। এই ডিফেন্ডার বলেছেন, 'ইউরোপের তুলনায় এখানে পার্থক্যটা বড়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানিয়ে নেওয়াটাই আসল ব্যাপার। তারা আমাদের জন্য বিষয়টি সহজ করে তোলেনি। এতে অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা অসন্তুষ্ট, তারা আমাদের যত্ন নেয়, কিন্তু আমার মতে তা যথেষ্ট নয়।' নানা ধরনের সুবিধার লোভ দেখিয়ে খেলোয়াড়দের আনা হলেও শেষ পর্যন্ত লিগ কর্তৃপক্ষ তা মনে রাখে না বলে দাবি করেন লাপোর্তে, 'আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অন্যদের অভিজ্ঞতা কেমন, তা জানি না। আমার দিক থেকে আমি যা দেখেছি তা হলো, তারা আপনাকে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু এরপর এখানে প্রতিদিনের যে জীবন, সেটা অন্যরকম।' 'আপনি তাদের কোনো আল্টিমেটাম দিলেও, সেটা তাদের কাছে কোনো ব্যাপার নয়, আপনি আলোচনা করবেন, তারপর চুক্তি করবেন, কিন্তু এরপর তারা তা খুব একটা আমলে নেয় না। সত্যি বলতে, আমাদের মধ্যে অনেকেই এখানে শুধু ফুটবলের জন্য আসেনি। অনেকেই এই (আর্থিক) দিকটি নিয়ে খুশি। কিন্তু এর বাইরেও আমি এমন কিছু খুঁজছি, যা আর্থিক নয়।' তবে এখনই ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে কোনো কিছু ভাবেননি লাপোর্তে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে হেন্ডারসনের মতো সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।