বার্সেলোনার জয় জুভেন্টাসের ড্র

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক বিশ্বের বড় বড় সব ক্লাবের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরলেও ওল্ড ট্রাফোর্ড যেন অধরা ছিল বার্সেলোনার কাছে। অবশেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সা। তবে এ জয় পেতে ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে বার্সাকে। বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পেয়েছে তারা ১-০ গোলের ঘাম ঝরানো জয়। প্রথমার্ধে পাওয়া আত্মঘাতী গোলেই ম্যানইউয়ের মাঠে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে কাতালানরা। এদিকে একই সময় শুরু হওয়া রাতের আরেক ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গোল পেলেও জিততে পারেনি তার দল জুভেন্টাস। আয়াক্সের মাঠ থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে তারা। ম্যানইউ কোচ ওলে গুনার সুলশার তার ট্যাকটিকস দিয়ে আটকে রাখতে পেরেছিলেন লিওনেল মেসিকে। বার্সেলোনার পাসিং ফুটবলের ফুলও ফুটতে দেননি খুব একটা। কিন্তু নিজেদের ভুলেই ঘরের মাঠের প্রথম লেগ হারতে হয়েছে ম্যানইউকে। বিপরীতে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ফেরায় সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো বার্সেলোনা, কেননা ফিরতি লেগে খেলতে নামবে তারা ঘরের মাঠ নু্য ক্যাম্পে। আর এই জয়টা বার্সেলোনার জন্য আরেকটি কারণে 'বিশেষ'। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ম্যানইউয়ের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমবার জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। আগের চারবারের মিশনে একবারও জয়ের স্মৃতি ছিল না তাদের। দুইবার হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে, আর বাকি দুইবার ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল কাতালানদের। তবে এবার ইতিহাস নতুন করে লিখলো তারা, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাওয়া প্রথম জয়ে। বার্সেলোনার শুরুটা হয়েছিল দারুণ। শুরু থেকেই সফরকারীরা আক্রমণ চালাতে থাকে রেড ডেভিলদের রক্ষণে। তেমনই একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে লুক শ'র আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বক্সের ভেতর মেসি বল উড়িয়ে মেরেছিলেন লুই সুয়ারেসের দিকে। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের হেড শ'র গায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। যদিও গোলটি নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। বল জালে জড়ালেও লাইন্সম্যান তুলেছিলেন অফসাইডের পতাকা। সহকারী রেফারির সিদ্ধান্ত ছিল, মেসির বল বাড়ানোর সময় অফসাইডে ছিলেন সুয়ারেজ। যদিও ভিএআরে দেখা মেলে অফসাইড ছিলেন না সুয়ারেজ, তাতে আত্মঘাতী গোলটায় লিড নেয় বার্সেলোনা (১-০)। তবে গোলের পরই পাল্টে যায় বার্সেলোনার খেলার ধরন, বিপরীতে ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে ম্যানইউ। স্বাগতিকদের আক্রমণ ঠেকাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে কাতালানদের। যদিও সমতায় ফিরতে পারেনি তারা। খেলার বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়া আত্মঘাতী গোলটাই অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয় বার্সেলোনাকে। এদিকে আমস্টারডামে জুভেন্টাস ১-১ গোলে ড্র করেছে আয়াক্সের সঙ্গে। এই ম্যাচ দিয়েই চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর ফিরেই গোল পেয়েছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তার গোলে বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এগিয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাস। ৪৫ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। যদিও প্রথমার্ধ শেষে এক গোলে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে ইতালিয়ান ক্লাবটি মাঠ ছাড়লেও বিরতি থেকে ঘুরে আসার পর তা থাকেনি। কারণ দ্বিতীয়ার্ধের বাঁশি বাজার পরপরই আয়াক্সকে সমতায় ফেরান ডেভিড নেরেস। এরপর আর গোল না হওয়ায় শেষ তক ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্র নিয়ে ফিরে সুবিধায় রয়েছে জুভেন্টাস। ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে সেমিফাইনালে উঠবে ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেস্নগ্রির দল।