শেখ রাসেলের সহজ জয়

শীর্ষস্থান মজবুত করল বসুন্ধরা

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আন্তঃজেলা মহিলা কাবাডি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কিশোরগঞ্জ ও রানার্সআপ রাঙামটি জেলা দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অতিথি ও কর্মকর্তাগণ -সৌজন্য
ক্রীড়া প্রতিবেদক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে সহজ জয় পেয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ১২তম রাউন্ডে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে (২-০) গোলে সহজ জয় তুলে নেয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। অন্যদিকে নীলফামারীতে নিজেদের হোম ভেনু্যতে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৩-২ গোলের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে শক্তিধর বসুন্ধরা কিংস। শুরুতে এগিয়ে গিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো বসুন্ধরা কিংস টানা তিন গোল করে ম্যাচ বসে যায় চালকের আসনে। পরে এক গোল খেলেও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিগের নবাগত দলটি। এ জয়ে ১১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রাখল বসুন্ধরা। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পূর্বের তৃতীয় স্থানেই শেখ রাসেল। পয়েন্ট খোয়ালেও চতুর্থ স্থানেই সাইফ স্পোর্টিং। তাদের ২০ পয়েন্ট। রহমতগঞ্জের ৯ পয়েন্ট। তারা আছে অষ্টম স্থানে। শক্তির বিচারে রহমতগঞ্জ থেকে অনেক এগিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। মাঠের লড়াইয়েও তাই পার্থক্যটা ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪ মিনিটের মাথাতেই লিড নেয় শেখ রাসেল। এলেক্স রাফায়েল ডি সিলভার কর্নার বক্সে পেয়ে হেড নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওডোইন। তার হেড গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন রহমতগঞ্জের এক ডিফেন্ডার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বক্সের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা মিডফিল্ডার সোহেল রানা আলতো ছোয়ায় বল জালে পাঠিয়ে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন শেখ রাসেলকে (১-০)। ১৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অলবস্নুজরা। উজবেক ফরোয়ার্ড আজিজভ আলীসেরের বাড়িয়ে দেয়া বল জালে ঠেলে দেন ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওডোইন (২-০)। ৩৪ মিনিটে আরও একটা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন এই নাইজেরিয়ান। বা প্রান্ত থেকে করা তার কোনাকোনি শট সরাসরি গ্রিপে নিয়ে নেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে রহমতগঞ্জ। তবে শক্তিধর শেখ রাসেলের বিপক্ষে পেরে উঠাটা এতো সহজ ছিলো না পুরানো ঢাকার দলটির জন্য। ৪৩ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে গিয়ে কোনাকোনি শট নেন রহমতগঞ্জের সোহেল রানা। কিন্তু বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধে ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। তাই ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ট্রেবল জয়ী খ্যাত শেখ রাসেল। ৭৩ মিনিটে বক্সের বেশ কাছেই ফ্রি কিক পায় রহমতগঞ্জ। ফরোয়ার্ড সোহেল রানার শটের উড়ন্ত বল ফিস্ট করেন রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৮০ মিনিটে ফাকায় বল পেয়ে বা প্রান্ত থেকে রহমতগঞ্জের বদলি মিডফিল্ডার ইনামুল ইসলাম যে কোনাকোনি শটটি নেন তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের শেষ দিকে এসে আরও একটি গোল আদায় করে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত ধরে বল নিয়ে জোরালো শট করেন রাসেলের এলেক্স রাফায়েল। কিন্তু বল সরাসরি গ্রিপে নিয়ে নেন তিতুমির চৌধুরী। পরের মিনিটেই রহমতগঞ্জের রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়েছিলেন ওডোইন। কিন্তু গোলরক্ষক এগিয়ে এসে বল নিয়ে নেয়াতে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এ ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয় শেখ রাসেল। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে নীলফামারীতে শেখ নিজেদের হোম ভেনু্যতে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ৩-২ গোলের ঘাম ঝড়ানো জয় পেয়েছে টেবিলের শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ৩ মিনিটে সাজ্জাদ হোসেনের যোগান দেয়া বলে লক্ষ্যভেদ করে সাইফকে এগিয়ে দেন ডি করডোভা। ৩১ মিনিটে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। মতিন মিয়ার পাসে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিলিয়াস (১-১)। ৪৩ মিনিটে কলিন্ড্রেস যে গোলটি করেন তার পেছনের নায়কও ছিলেন এই মার্কোস (২-১)। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে বখতিয়ার দোশোভেকভের গোলে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে নেয় কিংসরা (৩-১)। তবে সাইফও ছেড়ে দিতে নারাজ। দ্বিতীয়ার্ধে তারা চড়াও হয় বসুন্ধরারা ওপর। ৫৬ মিনিটে দলীয় অধিনায়ক জামাল ভুইয়ার পাসে বসুন্ধরারা জাল কাঁপান রিয়াদুল হোসেন রাফি (৩-২)। ম্যাচটি ড্র দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের হোম ভেনু্যতে পয়েন্ট খোয়াতে হয়নি কিংসদের।