আবারও ড্র মোহামেডানের

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে হারের বৃত্ত থেকে কোনোমতে বের হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং। শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে নিজেদের ১১ তম ম্যাচে টানা তিন ম্যাচ হারের পর ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাদা-কালোরা। মুক্তিযাদ্ধার সঙ্গে তারা ১-১ গোলের ড্র করে। অন্যদিকে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে টানা ৫ ম্যাচপর পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। নোফেল স্পোর্টিংকে তারা হারায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। ঐতিহ্যের ধারক বাহক হয়েও মোহামেডান যেনো এখন সব থেকে সহজ দল ঘরের ফুটবলে। তাদের বিপক্ষে এখন নিচের সারির দলরাও পয়েন্ট পাবার আশা নিয়েই খেলতে নামে। তবে শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধাকে খুব সহজে পয়েন্ট দিয়ে দেয়নি ঐতিহ্যবাহীরা। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে এ্যাওয়ে ম্যাচে অলরেডদের বিপক্ষে বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় সাদা-কালোরা। প্রথমার্ধে তাই কোন গোল আদায় করে নিতে পারেনি স্বাগতিক দলটি। অবশ্য মোহামেডানও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে গেছে উভয় দল। তবে সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে দিয়ে হোম এ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে ৬৯ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ইউসুকে কাতুর বাড়িয়ে দেয়া বলে মোহামেডানের জাল কাপান বালেস্না ফেমোসা (১-০)। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশোধ করতে ব্যর্থ হলেও ইনজুরি টাইমে এক গোল দেন মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগুজি (১-১)। অন্যদিকে টানা ৫ ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর অবশেষে জয়ে ফিরেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সর্বশেষ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে জয়। এরপর শেখ রাসেলে পয়েন্ট খুইয়ে পরপর তিন ম্যাচে গোলশূন্য ড্র। নিজেদের শেষ ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর কাছে ৩-০ গোলে হারে তারা। অবশেষে নোয়াখালীতে তারা পেয়েছে কাংখিত জয়। নোফেলের এটি টানা দ্বিতীয় হার। শুক্রবার নোফেল স্পোর্টিংকে ৩-০ গোলে হারায় তারা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালকে পেছনে ফেলে একধাপ উপরে উঠে আসলো চট্টলার দলটি। তারা আছে ৭ম স্থানে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে নোফেল। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ভেনু্যতেই ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব।। বা প্রান্ত থেকে সতীর্থর ফ্রি কিকে বক্সে বল পেয়ে শটে সরাসরি বল জালে পাঠান চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইমুর রহমান শাহেদ (১-০)। ২১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। নোফেলের অর্ধ থেকে লম্বা পাস বাড়ান আবাহনীর এক ফুটবলার। বল বুঝে নিয়ে প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মাগালান আওয়ালা (২-০)। ৩৮ মিনিটে নোফেলের কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল খুব সহজেই গ্রিপ করেন চট্টলার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় সফরকারীরা। প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করলেও দ্বিতীয়ার্ধে শক্ত রক্ষণে বেধে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে দক্ষিণাঞ্চলের ক্লাবটি। এবং তাতে বেশ সফলও হয় তারা। চট্টগ্রাম আবাহনীকে আটকে রেখে আক্রমণেও যায় নোফেল স্পোর্টিং। ৫৮ মিনিটে বল নিয়ে আবাহনীর অর্ধে ঢুকে পড়ে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন নোফেলের ডিফেন্ডার কামরুল ইসলাম। কিন্তু এবারো বল গ্রিপে নিতে কোন বেগ পোহাতে হয়নি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে। নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না রিসিভ করলেও ইনজুরি টাইমে (৯০+৬) সেই রক্ষণের ভুলেই আরো এক গোল হজম করেছে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। পোস্টের বাইরে থেকে করা মাগালানের সেই শটটি আটকে দেবার চেষ্টাও করেননি নোফেলের কোন ডিফেন্ডার। গোলরক্ষক কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বল চলে গেছে নোফেলের জালে (৩-০)। আর এই গোলেই ইতি টানে চট্টলার দলটি। দীর্ঘ ৫ ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো তারা।