আইপিএলের পরপরই মায়াঙ্ককে ভারতীয় দলে দেখতে চান শেবাগ

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে তীব্র বেগে ঢুকে বল কেড়ে নিল অফ স্টাম্পের বেল। ক্যামেরন গ্রিনের হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া যেন কিছুই করার ছিল না। গতির ঝড়ে তরুণ মায়াঙ্ক যাদব টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ছড়ালেন আলো। লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টকে আবারও জিতিয়ে নায়ক হওয়া এই তরুণে মুগ্ধ সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্রর শেবাগ। তাকে দ্রম্নতই ভারতের জাতীয় দলে দেখতে চান তিনি। মঙ্গলবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে তাদের মাঠেই ২৮ রানে হারায় লক্ষ্নৌ। ১৮১ রান সামাল দিতে গিয়ে বল হাতে দলের জয়ের নায়ক মায়াঙ্ক। ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট, হয়েছেন ম্যাচ সেরা। গতির তোড়ে গ্রিন ছাড়াও আউট করেছেন গেস্নন ম্যাক্সওয়েল ও রজত পাতিদারকে। এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেকে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও ২৭ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন ২১ পেরুনো পেসার। প্রথম ম্যাচে বেশ কয়েকটি বল করেন ঘণ্টায় দেড়শ' কিলোমিটার। দুটি ডেলিভারি ছাড়িয়ে যায় ১৫৫ কিলোমিটার। এদিনও বল করেন ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে।  আইপিএলের ইতিহাসে ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে সর্বোচ্চ তিনটি ডেলিভারি করা পেসার হয়ে গেছেন তিনি, তাও স্রেফ দুই ম্যাচে। ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজের আলোচনা অনুষ্ঠানে মায়াঙ্ককে নিয়ে রোমাঞ্চে মাতেন দুই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শেবাগ ও মনোজ তিওয়ারি। মনোজের মতে গ্রিন গতির তোড়ে ঘাবড়ে উইকেট দিয়েছেন, 'গ্রিন ভয় নিয়ে খেলেছে, দেখুন সে সরে গিয়েছিল, লাইনেই ছিল না গতির কারণে। সে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, আইপিএল জুড়ে এখন মায়াঙ্ক আতঙ্ক।' তার সঙ্গে সায় দিয়ে শেবাগ বলেন, 'ওটা তো ছিল এক নম্বর ডেলিভারি, ওটা এবং ম্যাক্সওয়েলেরটাও, একদম ক্লাস। গ্রিনের টপ অফ স্টাম্প উড়ে গেল। সে বলই দেখতে পায়নি। এক্স ফ্যাক্টর বলব আমি। প্রথম ওভারেই ২ উইকেট। এরপর আরও দুটি।' উপস্থাপন শেবাগকে মনে করিয়ে দেন প্রথম ওভারে একটা ছিল রান আউট। শেবাগ ব্যাখ্যা করে বোঝান রানআউটটাও তার গতির প্রভাবে, 'ওটাও তার প্রভাবেই হয়েছে। ব্যাটে বল লাগিয়েই ব্যাটার হুড়োহুড়ি করে প্রান্ত বদল করতে গিয়েছে, বাকি পাঁচ বল না খেলার জন্য। তাতেই রান আউট। দুই ম্যাচেই সে এক্স ফ্যাক্টর ছিল। দুই ম্যাচই সে দলকে জিতিয়েছে। নিচের ব্যাটারদের নয়, একদম টপ অর্ডার আউট করছে।' এমন পারফরম্যান্সে মাত্র দুই ম্যাচ দেখেই সমর্থকরা তাকে বিশ্বকাপ দলে দেখার আলোচনা তুলেছেন। মায়াঙ্ককে এখনই জাতীয় দলে খেলানো দ্রম্নত হয়ে যায় কিনা এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দেল মনোজও, 'না না, তাড়াতাড়ি হবে না (দলে নিলে)। আমি যদি অজিত আগারকারের জায়গায় থাকতাম, ওর নাম প্রথমেই লিখতাম। জাসপ্রিট বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি এরপর সে, এরপর বাকিরা। সিরাজকে নিব না, তার ছন্দটা ভালো যাচ্ছে না।'