সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বদলে যাচ্ছে ফুটবলের ৫ নিয়ম ক্রীড়া ডেস্ক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এটিকে আরও আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় করে তুলতে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার চেষ্টার কমতি নেই। ফিফার অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) দেখে থাকে খেলার নিয়মকানুনের দিকটি। এবার তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী মৌসুম তথা চলতি বছরের পহেলা জুন থেকে বদলে যাবে ফুটবলের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। ক্লাব ফুটবল এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে নিয়মগুলো। চলুন দেখে নেয়া যাক নতুন মৌসুমে বদলে যাওয়া নিয়মগুলো- পেনাল্টির নতুন নিয়ম, ম্যাচ চলাকালীন পেনাল্টি কিক নেয়ার পর গোলরক্ষক যদি সেটিকে ফিরিয়ে দেন, তাহলে ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করার সুযোগ ছিল এতদিন। তবে নতুন মৌসুমে এটি আর থাকছে না। গোলরক্ষক একবার বল ঠেকিয়ে দেয়ার পর পুনরায় সেন্টার কিক থেকে খেলা শুরু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, হ্যান্ডবলে আসছে পরিবর্তন, এতদিন ধরে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে সেটিতে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজাতেন না রেফারি। তবে পহেলা জুন থেকে খেলোয়াড়ের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত, উভয় হ্যান্ডবলেই ফাউলের বাঁশি বাজাবেন রেফারি। তৃতীয়ত, সময় বাঁচাতে নতুন পরিকল্পনা, সময়ের অপচয় ঠেকাতে ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড় পরিবর্তন বা সাবস্টিটিউটের নিয়মে আসছে বদল। অনেক সময়ই দেখা যায় ম্যাচের শেষ দিকে জিততে থাকা দল ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করার জন্য খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ফুটবলারের সেন্টার সার্কেলে আসতে অনেকটা সময় ব্যয় হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে সবচেয়ে কাছে টাচলাইন থেকেই ফুটবলারকে মাঠ ছাড়তে হবে। চার নম্বর নিয়মটি হলো, ফ্রি কিকের মানব দেয়াল হবে নতুন নিয়মে, সাধারণত ফ্রি কিক নেয়ার সময় দু'দলের ফুটবলাররা মানব দেয়াল তৈরি করায় হুড়োহুড়ি করেন। গোলবারের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে অনেক সময় হাতাহাতি পর্যায়েও চলে যায়। সেই সমস্যা সমাধানে নতুন নিয়মে, অ্যাটাকিং দলের কেউ মানবদেয়াল তৈরি করতে পারবেন না। শুধু প্রতিপক্ষের ফুটবলাররাই সেখানে দাঁড়াতে পারবেন। পঞ্চম ও শেষ নিয়মটি হলো, কোচদের জন্য সতর্কবার্তা। পাকিস্তানকে ফেভারিট মানছেন মরগ্যান! ক্রীড়া ডেস্ক ইমরান খানের নেতৃত্বে শেষবারের মতো ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। দুই আসর পরে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছিল ওয়াসিম আকরামের দল। এরপর আর কখনো ফাইনালেই উঠতে পারেনি এশিয়ার পাওয়ার হাউস এই দলটি। কিন্তু ২০১৭ সালে ইংলিশদের মাটিতে সবাইকে অবাক করে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতে নেয় আন্ডারডগ হয়ে থাকা দলটি। তবে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটির সাম্প্রতিক ওয়ানডে ফর্মটাও একেবারেই শ্রীহীন। তথাপি এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার দ্বিতীয় বা তৃতীয় দাবিদার পাকিস্তান, এমন মন্তব্য করে চমকে দিয়েছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় পাকিস্তান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে পর্যুদস্ত হয়ে দেশে ফেরে সরফরাজের দল। তাদের এমন পারফরম্যান্স সত্ত্বেও আইসিসি ক্রিকেট ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংলিশ অধিনায়ক মরগ্যান বলেন, 'গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। এবার বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে ওরা। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ হওয়ায় আমাদের জন্যও ভালো হয়েছে। এই সিরিজের মাধ্যমে প্রস্তুতি জোরদার করা যাবে।' বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ের ড্র বুধবার ক্রীড়া প্রতিবেদক বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। যে বাছাই উৎরাতে না পারলে প্রায় চার বছর ফিফা এএফসির কোন ম্যাচ পাবে না বাংলাদেশ। এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের আগে এসেই কোচ জেমি ডের সঙ্গে বাফুফের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ। ছুটি কাটিয়ে ২০ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার। এরপরই তার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদের চুক্তি সেরে নিতে চায় বাফুফে। তবে তার আগে ১৭ এপ্রিল হবে বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ের ড্র। ইংলিশ কোচ জেমিডের সঙ্গে মাত্র এক বছরের চুক্তি রয়েছে বাফুফের। এই সময়ের মধ্যেই জাতীয় দলের যে উন্নতি হয়েছ তার অধীনে তা চোখে পড়ার মতোই। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ইতোমধ্যে জানিয়েছেন দলটি নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। আর জেমি'ডের প্রতি বাফুফের যে আস্থা আছে তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। কিন্তু কথা হলো জেমি বাফুফের সঙ্গে থাকবেন কিনা। ঢাকা ছাড়ার আগে অবশ্য জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকার গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে গেছেন এই কোচ। তবে যেহেতু তিনি একজন পেশাদার কোচ যে কোন সময় বদলে যেতে পারে মতামত। কারণ এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি হয়নি দুই পক্ষের। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে জেমি আর বাফুফের মধ্যে চুক্তি নিয়ে কথা চললেও এখানো সমঝোতা হয়নি। জেমি তিন বছরের জন্য জাতীয় দলে থাকতে চাইলেও বাফুফে নাকি চাইছে দেড় বছরের চুক্তি করতে।