সিডনি বার্নস কি ইতিহাসের সেরা বোলার?

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
১৮৭৩ সালের ১৯ এপ্রিল ইংল্যান্ডে জন্ম নেন সিডনি বার্নস। অনেকের মতে তিনি শুধু ইংল্যান্ডেরই নয়, ইতিহাসের সেরা বোলার ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি কেরানির চাকরিও করতেন। তবে ক্রিকেটকেই বেশি প্রাধান্য দিতেন বার্নস। বাবা রিচার্ডের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সিডনি ছিলেন দ্বিতীয়। বাবার ক্রিকেট খেলার অভ্যাস ছিল না। তবে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের ব্যাট-বল নিয়ে নড়াচড়া শুরু সিডনির। বার্নস ১৮৮৮ সালে ক্লাব ক্রিকেট দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, ১৯০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অভিষেক হয় তার। তবে অনেকেই এখনো প্রশ্ন করেন, সিডনি কি একজন পেস বোলার ছিলেন নাকি স্পিনার। এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ তিনি পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন বলও করতেন। তবে সিডনি নিজেকে একজন স্পিনার হিসেবে দাবি করতেন। তার পেস বোলিংয়ের মাঝে সুইংয়ের মিশ্রণ যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য খেলার অযোগ্য করে তুলেছিল। ১৮৯৪ সালে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় সিডনির। এতদিনে পেস বোলারের তকমা পেয়ে গেছেন তিনি। তবে বার্নস শুরুতে অফস্পিনার হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন। পরে তিনি বনে যান লেগ স্পিনার। ওয়ারউইকশায়ারের অপেশাদারি আচরণে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই কাউন্টি চুক্তি বাতিল করেছিলেন তিনি। এরপর ১৮৯৯-১৯০৩ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলেছেন বার্নস। ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ৩৮ ম্যাচে ৪১১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এরই মাঝে ১৯০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার জাতীয় দলে অভিষেকও হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ২৭ ম্যাচ খেলেছেন সিডনি বার্নস। এই ২৭ ম্যাচে তিনি পেয়েছেন ১৮৯ উইকেট। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ১৬.৪৩। ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২৪ বার। ম্যাচে দশ উইকেট পেয়েছেন ৭ বার। ১০৩ রান দিয়ে ৯ উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ ম্যাচটি বার্নস খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই সিরিজে তিনি ৩ বার দশ উইকেট পেয়েছেন। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের সিরিজে তিনি মোট ৪৯ উইকেট পান। বার্নসের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পারফরম্যান্সটা এসেছিল জোহানেসবার্গে, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে। ১৫৯ রান খরচায় নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট! টেস্ট ইতিহাসের সেরা ম্যাচ ফিগারের তালিকায় যার অবস্থান দ্বিতীয়। সিডনি বার্নস ছিলেন একজন পরিপূর্ণ বোলার। যার কারণে তাকে ইতিহাসের সেরা বোলার বলা হয়। তিনি একই সঙ্গে সুইং, সিম এবং স্পিন বল করতে পারতেন। তিনি পেস বোলিং করার সময় যেমন বলে ভ্যারিয়েশন আনতে পারতেন, তেমনি স্পিনেও সুইং করাতে পারতেন। যা দেখে সকলেই মুগ্ধ হতেন। তিনি যেরকম ইচ্ছে বল সুইং করাতে পারতেন। তার স্পিন বোলিংটা ছিল রহস্যে ঘেরা। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে উইকেট শিকার করতে পারতেন। একটা কথা বার্নস বারবার বলতেন, তার সাফল্যের রহস্য আসলে স্পিন।