জিতেই চলেছে বসুন্ধরা কিংস

ফলাফল বসুন্ধরা কিংস ৩-০ চট্টগ্রাম আবাহনী নোফেল স্পোর্টিং ০-০ শেখ জামাল

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নোফেল স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ড্র ম্যাচে বল দখলের লড়াই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের -বাফুফে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে টানা ষষ্ঠ জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। বৃহস্পতিবার নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে। অন্যদিকে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নোফেল স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে (০-০) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই দুটি ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় লিগের ১৩তম রাউন্ডের খেলা। যদি না মাঝপথে বিজেএমসির কাছে পয়েন্ট খোয়াতো, তবে টানা এক ডজন জয়ের রেকর্ডটা গড়তে পারত বসুন্ধরা কিংস। তবে ঐ একটি ম্যাচ ড্র ছাড়া এবার কিংসদের বাকি সব ম্যাচেই জয়। টানা ষষ্ঠ এবং নিজেদের ১১তম জয়ে ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল বসুন্ধরা কিংস। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানেই থাকল শেখ জামাল। সমান ১৪ পয়েন্ট চট্টগ্রাম আবাহনীরও। তবে গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় সপ্তম স্থানে আছে তারা। নোফেলের ৯ পয়েন্ট। তারাও রয়েছে পূর্বের দশম স্থানেই। নিজেদের শেষ ম্যাচে নোফেল স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে আবারও দীর্ঘদিন পর তিন পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী উজ্জীবিত হয়েই খেলতে নামে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। তবে শক্তিতে এগিয়ে থাকা ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম দলটির বিপক্ষে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে নিজেরা তেমন একটা আক্রমণের সুযোগই পায়নি। ৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে শট নেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার দ্য সিলভা। কিন্তু বক্স থেকে তার শটটি প্রতিহত করেন চট্টলার ডিফেন্ডাররা। মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরই অরক্ষিত বক্সে ঢুকে বাঁপ্রান্ত থেকে কোনাকুনি শট নেন দলীয় অধিনায়ক কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস। ৩৬ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় কিংসরা। তাদের একটি আক্রমণ বক্সে হেড দিয়ে ক্লিয়ার করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ফুটবলার। কিন্তু বিপদ কাটেনি। বল পেয়ে যান বসুন্ধরার ফুটবলাররা। নিজেদের মধ্যে বল আদান প্রদান করতে থাকেন প্রতিপক্ষ বক্সের আশপাশেই। পোস্টের বেশ কাছে থেকে ছোট পাস দেন ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়াস। বল বুঝে নিয়েই তরিৎগতিতে কোনাকোনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বসুন্ধরার কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশোবেকভ (১-০)। বক্সে তখন চট্টলার সাত ফুটবলার। অথচ বলের নাগালই পেলেন না কেউ। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় স্বাগতিক দলটি। ৪৮ মিনিটে বক্সের খুব কাছে ফ্রি কিক পায় কিংসরা। তবে কলিন্ড্রেসের শট চট্টলার রক্ষণ দেয়াল ভেদ করতে পারেনি। তাই দ্বিতীয় গোলের দেখাও মেলেনি। ৫১ মিনিটে বক্সের মাথায় কলিন্ড্রেসকে ফাউল করেন চট্টলার এক ডিফেন্ডার। কিন্তু এবারো গোলের সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেছে অস্কার ব্রম্নজোনের শিষ্যরা। ৬৩ মিনিটে কলিন্ড্রেসের কর্নার জটলা থেকে হেডে ক্লিয়ার করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার। ৭১ মিনিটে বক্সের দশ গজ দূর থেকে বখতিয়ার দুশোভেকবের স্পট কিক বা পোস্ট ঘেষে চলে যায় বাইরে। ৭৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে কোনাকোনি শট নেন বিশ্বকাপের কলিন্ড্রেস। বা পোস্টে বল লেগে ঢুকে যায় জালে। ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা (২-০)। ৮৪ মিনিটে। ৮৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থের লম্বা পাসে পোস্টের কাছে বল পান মার্কোস। বলটা জালে ঠেলে দিয়েই দলকে তৃতীয় গোল উপহার দেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার (৩-০)। আর এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় বসুন্ধরার। শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। এর আগে দুপুর সাড়ে তিনটায় গোপাল গঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধার প্রতিপক্ষ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।