জোড়া গোল করায় আর্লিং হাল্যান্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ম্যানসিটির সতীর্থ -ওয়েবসাইট
যে মাঠে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে আগে কখনও জালের দেখা মেলেনি, হারের তেতো স্বাদ জুটেছে প্রতিবার, সেখানে এবারও আক্রমণে কিছুটা ভুগতে দেখা গেল ম্যানচেস্টার সিটিকে। দ্বিতীয়ার্ধে মূল গোলরক্ষক এদেরসন ও পেস্নমেকার কেভিন ডিব্রম্নইনেকেও হারাতে হলো। তবে, সব বাধা পেরিয়ে মঙ্গলবার রাতে টটেনহ্যাম হটস্পারের আক্রমণ সামলে ২-০ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিল পেপ গার্দিওয়ালার দল ম্যানসিটি।
শিরোপা ধরে রাখার পথেও এগিয়ে গেল অনেকখানি। প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে লিগের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি। দুটি গোলই করেছেন আর্লিং হাল্যান্ড। এই মাঠে আগের চারটি লিগ ম্যাচের সবগুলোয় হেরেছিল ম্যানসিটি। খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়েই এই খরা কাটাল দলটি। এদিনের এই জয়ে ৩৭ ম্যাচ থেকে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরল ম্যানসিটি। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল।
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার লড়াই থেকেও ছিটকে গেল টটেনহ্যাম। ৩৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে তারা। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে অ্যাস্টন ভিলা। ৪১ বছর পর ইউরোপ সেরার মঞ্চে খেলার সুযোগ পেল দলটি।
\হচেনা আঙিনায় ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই প্রতিপক্ষের বুকে আঘাত হানতে পারত টটেনহ্যাম। সতীর্থের পাস বক্সের মুখে পেয়ে ভেতরে ঢুকে বিনা বাধায় শট নেন রদ্রিগো বেন্তানকুর; কিন্তু গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে শটটা নিতে পারেননি তিনি। একটু লাফিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান এদেরসন। দুই মিনিট পর উল্টো বিপদে পড়তে বসেছিল টটেনহ্যাম। তবেডি ব্রম্নইনের জোরাল শটে বল একজনের পায়ে লেগে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দলে আক্রমণের রসদ যথেষ্ট থাকলেও, ম্যানসিটিকে প্রথমার্ধে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। ৩৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ অবশ্য তারা পায়। ফোডেনের পাস দূরের পোস্টে ফাঁকায় পেয়ে যান ইয়োশকো ভার্দিওল; কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলি মেরে হতাশ করেন আগের সাত ম্যাচে পাঁচটি গোল করা এই ডিফেন্ডার। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই আরেকটি পরিষ্কার সুযোগ পায় ম্যানসিটি। কিন্তু ডি ব্রম্নইনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ভিসারিও। পাল্টা আক্রমণে ৪৯তম মিনিটে গোলমুখে বল পেলেও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি সন হিউং-মিন। দুই মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে যায় ম্যানসিটি। ডান দিক থেকে ডিব্রম্নইনের গোলমুখে বাড়ানো বল আলতো এক ছোঁয়ায় গোল লাইনের ওপারে পাঠিয়ে দেন হল্যান্ড।