হঠাৎ অবসরে নাজমুল

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক জাতীয় দলে তাকে সবশেষ দেখা গেছে ২০১২ সালে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকলেও মাঝে ৬ বছর কেটে গেল! ডাক পাননি জাতীয় দলে। অবশ্য ইনজুরিও বেশ ভুগিয়েছে তাকে। বছর চারেক আগে অভিমানে গুডবাই বলেছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের দলগুলো মূল্যায়ন করছে না- এমনই অভিযোগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। কিছুদিন পরই সিদ্ধান্ত পাল্টে নামেন মাঠে। তারপরও সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এ কারণেই এবার হঠাৎ বিদায় বলে ফেলেছেন নাজমুল হোসেন। যদিও তার বয়স মাত্র ৩১। তারপরও ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন এই পেস বোলার। মঙ্গলবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, 'নিয়মিত না হলেও দলের সঙ্গে ছিলাম প্রায় ১১ বছর। অপারেশন শেষে ২০১৪ থেকে আমি লড়ে যাচ্ছি। তখনই সরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছি। আসলে আমার ক্যারিয়ারটাই অন্যরকম। প্রথম টেস্টের ৭ বছর পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছি। আপনারাই জিজ্ঞাসা করেছিলেন এরপর এরকম গ্যাপ হলে কি করবেন? আমি বলেছিলাম ক্যারিয়ার শেষ! দেখুন ক্যারিয়ার শেষই হয়ে গেল!' তবে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বেশ ভেবেছেন তিনি। নাজমুল জানাচ্ছিলেন, 'এক বছর ধরে আমি এটা নিয়ে চিন্তা করছি। আমি সাকিব, রিয়াদ ও মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। মাশরাফি ভাই ও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে মনে হয়েছে আমার জাতীয় দলে কোন ভবিষ্যত নেই।' নাজমুলের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু ওয়ানডে ক্রিকেটে পথচলা। বার্মিংহামে সেই ম্যাচে কোন উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে খরচ দেন মাত্র ১৭ রান। ২০০৪ থেকে ২০১২ ছিলেন জাতীয় দলে। এরমধ্যে ৮ বছরে এই পেসার খেলার মাত্র ৩৮ ওয়ানডে। ৩১.৫০ বোলিং গড়ে নিয়েছে ৪৪ উইকেট। উত্থান-পতনের সেই ক্যারিয়ারের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মঙ্গলবার নাজমুল বলছিলেন, 'আকরাম ভাই, সুমন ভাই, সুজন ভাইদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে খেলতে পেরেছি। আমি সত্যিই ভাগ্যবান। মাশরাফি ভাই, সাকিব, তামিম ওদের সঙ্গেও খেলতে পেরেছি। রফিক ভাইয়ের কথাও বলতে হবে। সবমিলিয়ে বলবো না পাওয়ার চেয়ে পেয়েছি বেশি।' টেস্টে অভিষেক ২০০৪ সালে, প্রতিপক্ষ ভারত। দুই ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা খেলেন ২০১১ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবমিলিয়ে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। নাজমুল আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ৪টি। নিয়েছেন ১ উইকেট। খেলা ছাড়লেও ক্রিকেই জড়িয়ে থাকতে চান নাজমুল। বয়সভিত্তিক দলের পরামর্শক হিসেবে থাকবেন। আবার কাজ করতে চান পেসারদের নিয়েও। বিদায় বেলায় বলছিলেন, 'ঈদের পর শুভাশিষ, শহিদ, আল আমিন, তাসকিন এরকম ১০ জন পেস বোলারকে নিয়ে আমি কাজ করতে চেয়েছি। আমি চাই ওরা যেন আমার মতো হারিয়ে না যায়। আমি উত্তরাতে ছোট খাটো একটা একাডেমি করেছি। সবাইই কমবেশি সাহায্য করছে। লেভেল ১ কোর্স করবো, বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এরপর লেভেল ২ ও করবো। কাজ করে যদি দুই তিনটা বোলার বের করে নিয়ে আসতে পারি তাহলে দেশের জন্য ভালো।' এর অর্থ ক্রিকেটার অধ্যায় শেষে কোচ হয়েই আসছেন নাজমুল হোসেন!