উরুগুয়েকে বিদায় করে ২৩ বছর পর ফাইনালে কলম্বিয়া

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ের বিপক্ষে ১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ -ওয়েবসাইট
চলতি কোপা আমেরিকায় আলো ছড়াচ্ছিল উরুগুয়ে। সমানতালে এগিয়ে চলছিল কলম্বিয়াও। আর তাই দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগুনে লড়াইয়ের আভাস মিলছিল। সেখানে ১০ জনের দল নিয়েও উরুগুয়েকে বিদায় করেছে হামেস রদ্রিগ্রেজরা। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে উত্তাপ ছড়ানো দ্বিতীয় সেমিফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে কলম্বিয়া। ম্যাচের প্রথমার্ধে হামেস রদ্রিগজের চমৎকার কর্নারে দারুণ ক্রসে ব?্যবধান গড়ে দিয়েছেন হেফারসন লের্মা। ২০০১ সালের পর অর্থাৎ প্রায় ২৩ বছর পর কলম্বিয়া প্রথমবার জায়গা করে নিল ফাইনালে। শিরোপা মঞ্চে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এবারের আসরে অবিশ্বাস্য ছন্দে থেকেই কলম্বিয়া শিরোপা মঞ্চে নাম লিখিয়েছে। ২৮ ম্যাচ অপরাজিত তারা। সর্বশেষ হারটি ছিল ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ২০০১ সালের পর এই প্রথম কোপার ফাইনালে উঠল কলম্বিয়া। সেবার মেক্সিকোকে হারিয়ে প্রথমবার মহাদেশীয় এই আসরে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দলটি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একজন বেশি নিয়ে খেলায় স্বাভাবিকভাবেই বল দখলের হার উরুগুয়ের বেশি ছিল। তবে একজন কম নিয়েও ধারালো ফুটবল উপহার দিয়ে সুযোগ বেশি তৈরি করেছে কলম্বিয়া। ১১ শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রেখতে পেরেছে তারা। ১১ শটের ২টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে উরুগুয়ে। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করেও প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে কলম্বিয়া। তবে বারবার ফাউল হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হয় ম্যাচের গতি। ৩৯ মিনিটে কাঙ্খিত মুহূর্ত পায় কলম্বিয়া। পুরো আসরে দারুণ ফুটবল খেলা হামেস রদ্রিগেজের কাছ থেকে বল পেয়ে হেডে জালে জড়িয়ে দেন হেফারসন লের্মা। আর এই টুর্নামেন্টে রদ্রিগেজের এটি ষষ্ঠ অ্যাস্টিস্ট। তাতে তিনি ছাড়িয়ে যান লিওনেল মেসিকে। ২০২১ সালের কোপা জয়ের পথে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসি। এক আসরে ৬ অ্যাসিস্ট করে এখন সেই রেকর্ড কলম্বিয়ার রদ্রিগেজের। এক গোলে এগিয়ে ৫ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ পায় কলম্বিয়া। সেটা হাতছাড়া হওয়ার পর বিশাল ধাক্কা খায় দলটি। ম্যানুয়াল উগার্তেকে বুকে ধাক্কা দিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যান মুনোজ। এর আগে ৩২ মিনিটে তিনি পেয়েছিলেন প্রথম হলুদ কার্ড। বিরতির পর একজন কম নিয়ে রক্ষণে শক্তি বাড়ায় কলম্বিয়া। ১১ জন নিয়ে পুরো একটা অর্ধ বাড়তি সুবিধা পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি উরুগুয়ে। একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন দারউইন নুনেজ। অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারসকে নামিয়েও কাজ হয়নি। সুযোগ হারান তিনিও। উল্টো আরও গোল পেতে পারত কলম্বিয়া। ৮৮ মিনিটে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেটের ভুলে বল পেয়ে যান উরুবে। তিনি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে উরিবের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়ে যায়। ঐদিও ম্যাচের ৬৭ মিনিটে মাঠে আসেন অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারেস। কিছুক্ষণের মধ্যই গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু উরুগুয়েকে হতাশ করে বল ফেরে পোস্ট লেগে। শেষ দিকে ব?্যবধান বাড়ানোর দুটি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন কলম্বিয়ার মাতেউস উরিবে। ম?্যাচ শেষে মাঝমাঠে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। অন?্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে প্রায় ২৩ বছর পর ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে কলম্বিয়া।