লারা-কপিলকে ছাড়ালেন মোসাদ্দেক

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শুক্রবার উইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন -সৌজন্য
পাঁচ বছর আগে সবশেষ কোনো ওয়ানডে সিরিজ বা টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালের আগস্টে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতে নিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। এরপর দ্বিপাক্ষিক বা বহুজাতিক ২০টি সিরিজে হারতে হয়েছে উইন্ডিজদের। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ ?উইকেটে হারের লজ্জা পেতে হয় দলটিকে। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুক্রবার ডাবলিনের মালাহাইডে শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ছিলেন ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান। এদিন বাংলাদেশের হয়ে দ্রম্নততম অর্ধশতক গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মোসাদ্দেক। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই দ্রম্নততম ফিফটিতে ব্রায়ান লারা ও কপিল দেবসহ কিংবদন্তি অনেক ক্রিকেটারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মোসাদ্দেক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৮৩ সালের ২৯ মার্চ ২১ বলে ফিফটি করে দ্রম্নততম ফিফটির তালিকায় নাম লেখান কপিল দেব। আর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রম্নয়ারি কানাডার বিপক্ষে ২৩ বলে ফিফটি করেছিলেন ব্রায়ান লারা। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে এবিডি ভিলিয়ার্সের ১৬ বলে অর্ধশত রানটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রম্নততম ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার এ তারকা ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে জোহান্সবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েন। আর শেষ পর্যন্ত তিনি ১৪৯ রানের ইনিংস উপহার দেন। এতে ১৬টি ছক্কা ও ৯টি চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ১৭ বলে ফিফটি রয়েছে শ্রীলংকার জয়সুরিয়া, পেরেরা ও নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের। ১৮ বলে ফিফটির ইনিংস দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব ৮ বার। এর মধ্যে শহীদ আফ্রিদি একাই তিনবার ১৮ বলে ফিফটি করেন। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই জয়ে ২০ বলে অর্ধশতক তুলে মোহাম্মদ আশরাফুলকে পেছনে ফেলেন মোসাদ্দেক। ২০০৫ সালে ২১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন আশরাফুল। নটিংহ্যামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ২১ বলে অর্ধশতক তুলে নেন বাংলাদেশের প্রথম পোস্টার বয় খ্যাত এই তারকা। টাইগারদের হয়ে দ্রম্নততম অর্ধশতকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে চলে এসেছেন আব্দুর রাজ্জাক। ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ বলেই তুলে নিয়েছিলেন ৫০ রান। যদিও আশরাফুলের তুলনায় তার মোট রান কম ছিল তাই তালিকার পেছনে রয়েছেন রাজ্জাক। ইংলিশদের বিপক্ষে আশরাফুল থেমেছিলেন ৯৪ রানে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজ্জাক। সাকিব আল যদি সুস্থ থাকতেন তবে সাজঘরে বসে সতীর্থদের ফাইনাল খেলা দেখতেন মোসাদ্দেক। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ করেই সুযোগ পেয়ে গেলেন। সেটাকে কাজেও লাগালেন দারুণভাবে। ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করে আবার রেকর্ডও গড়েছেন এ ডানহাতি। নিজের এমন পারফরম্যান্সে ভালো লাগা আছে। পাশাপাশি তিনি বিশ্বকাপের আগে দেখছেন দলের ভালোটুকুও, 'এটা অনেক ভালো লাগার ব্যাপার (ম্যাচসেরা হওয়া)। আমরা প্রথম কাপ জিতলাম, সেটিও দেশের বাইরে। আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিশ্বকাপের আগে অনেক আত্মবিশ্বাস আমরা পেয়েছি।'