মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলছেন না তারিক কাজী

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
তারিক কাজী
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আগামী ১৩ এবং ১৬ নভেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে দুইটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে ম্যাচ দুইটি অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে অনুশীলনে পূর্ণাঙ্গ দলও পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। কিন্তু দলে নেই দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার তারিক কাজী। তার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কার কথা বলা হলেও, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারিকের দলে না থাকার কারণ ভিন্ন। আসন্ন মালদ্বীপ ম্যাচকে সামনে রেখে গত ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়েছিল। তবে ক্যাম্প শুরু হলেও দলের সবাইকে একসাথে পাননি কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। কিংসের এএফসি মিশনের জন্য কিছু খেলোয়াড় ক্যাম্পের বাইরে ছিল। এএফসি মিশন শেষ করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া কিংসের ১১ জন ফুটবলার মঙ্গলবার অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় দল শেষবার খেলেছিল সেপ্টেম্বরে। সেবার ভুটানের বিপক্ষে খুব একটা ভালো কিছু করতে পারেনি। মাঝে অক্টোবরে ফিফা উইন্ডো খেলেনি বাংলাদেশ। লিগ শুরু না হওয়া এবং দুই উইন্ডোর মাঝে এক মাসের ফারাক জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মধ্যেও ফারাক বলে মনে করেন জাতীয় দলের ম্যানেজার অমের খান। ফর্টিসের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ম্যাচের দৃশ্য আলোকপাত করে তিনি বলেন, 'জাতীয় দল এবং ফর্টিস দুইটি টিমের অবস্থান আমার কাছে ভালো মনে হয়নি। আসলে খেলার বাইরে থাকলে যা হয়, একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা। লিগটা যদি শুরু হতো, তাহলে আমরা সেখান থেকে উপকৃত হতে পারতাম।' মালদ্বীপের সাথে মূল দলে দুই ডিফেন্ডার তারিক কাজী এবং বিশ্বনাথ ঘোষকে পাবে না বাংলাদেশ। ইঞ্জুরির জন্য দলে ডাক পাননি বিশ্বনাথ ঘোষ। থাকছেন না তারিক কাজীও, এছাড়া ব্যক্তিগত কারণে দলের সাথে থাকবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তবে ভালো খবর দলে ফিরেছেন আনিসুর রহমান জিকো। অধিনায়ক জামাল না থাকায় অধিনায়কত্ব কে পালন করবে তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে তপু বর্মনই মালদ্বীপের বিপক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। নিজের ব্যাপারে বেশ আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন এই সেন্টারব্যাক। তপু বলেন, 'অধিনায়কত্ব নিয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। কে হয় না হয় ধারণা নেই। তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেশের হয়ে লড়াই করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।' কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবরেরার অধীনে উন্নতি করা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম প্রাণ সঞ্চারকারী ফিনল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজী। লাল-সবুজ জার্সিতে শুরুতে মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও আস্তে আস্তে হয়ে উঠেন বাংলাদেশের রক্ষণের প্রাণ ভোমরা। জামাল ভূঁইয়ার পর বাংলাদেশের জার্সিতে প্রবাসীদের পথ সুগম করার পথিকৃত তিনি। আসন্ন দুই প্রীতিম্যাচে তারিক কাজীর দলে না থাকায় বিস্মিত সমর্থকরা। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের একটি ম্যাচ খেললেও জাতীয় দলে তার না থাকা নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ইস্ট বেঙ্গলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচে অবশ্য সম্পূর্ণ ফিট তারিক কাজীকে পায়নি বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে রাইট ব্যাকে খেলা তারিককে বারবার পরাস্ত করেছে প্রতিপক্ষ। ফলে তার দলে না থাকার প্রধান কারণ হিসেবে ফিটনেসকেই অনেকে দায়ী করছেন। তারিক কাজীর বাংলাদেশ জাতীয় দলে না থাকার মূল কারণ অবশ্য ভিন্ন। ফিনল্যান্ডের নাগরিকদের বাধ্যতামূলক আর্মি ট্রেনিংয়ের বিধান রয়েছে। তারিক কাজী এফসি চ্যালেঞ্জ লিগের আগে থেকেই ওই ট্রেনিংয়ের অংশ ছিলেন। যার কারণে আগের ফিফা উইন্ডোতেও ভুটানে বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অংশ ছিলেন না তিনি। এফসি চ্যালেঞ্জ লিগ চলাকালীর আর্মি ট্রেনিংয়ের মধ্যবর্তী ছুটি ছিল তারিকের। ফলে নিজের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে সাহায্য করতে এসেছিলেন এই ডিফেন্ডার। তারিকের ছুটি শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে আর্মি ক্যাম্পে। মূলত এই কারণেই ইতিমধ্যে ফিনল্যান্ড পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ঘরোয়া মৌসুমের শুরুতেও তাকে মাঠে দেখা যাবে না।