ম্যাচের মাঝবিরতিতে টিভি সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রটকে জিজ্ঞেস করা করা হলো, '২৩৫ রান নিয়ে কি জিততে পারবেন বলে মনে করছেন?' রহস্যময় হাসি দিয়ে তার ছোট্ট উত্তর, "আশা তো করছি।" উত্তরটা পরে মাঠেই দিয়েছে ট্রটের দল। ওই রানকে যথেষ্টরও অনেক বেশি প্রমাণ করে ছাড়ে আফগানিস্তান। ম্যাচের পর অধিনায়ক হাশমাতউলস্নাহ শাহিদি বললেন, পুঁজি আরও কিছু কম থাকলেও জয়ের ভরসা তাদের ছিল।
ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ যেভাবে বোলিং করছিল, তাতে অবশ্য ২৩৫ রানের পুঁজিকে অনেক দূরের পথই মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের জন্য। শারজাহতে বুধবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানরা ৩৫ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট। ছোট্ট একটি জুটির পর হারাতে হয় আরেকটি উইকেট। দলের রান তখন ৫ উইকেটে ৭১। সেখান থেকে ১০৪ রানের জুটিতে দলকে উদ্ধার করেন শাহিদি ও মোহাম্মাদ নাবি। ৯২ বলে ৫২ রান করেন শাহিদি। নাবির ব্যাট থেকে আসে ৭৯ বলে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
শেষ দিকে নানগেলিয়া খারোটের ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস আফগানদের পৌঁছে দেয় ২৩৫ রানে। আর সেই রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত আফগানরা ম্যাচ জিতে নেয় ৯২ রানে। তরুণ স্পিনার আলস্নাহ মোহাম্মাদ গাজানফার ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাটিংকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন যেন।
মাঝবিরতিতেই জয়ের বিশ্বাস তাদের ছিল। ম্যাচ শেষে এমনটাই বললেন আফগান অধিনায়ক হাশমাতউলস্নাহ শাহিদি, 'সত্যি বলতে, আমি বিশ্বাস করছিলাম। ৫ উইকেট পড়ার পরও নাবি বেশ ইতিবাচক ছিলেন এবং খুব ভালো খেলেছেন। তার সঙ্গে উইকেটে যে আলোচনা হচ্ছিল, তাকে বলছিলাম যে, ২২০ রান করতে পারলেই যথেষ্ট হবে। সেখান থেকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিতে পারা তো দারুণ ব্যাপার। এরপর বোলাররা নিজেদের কাজ করেছে। সব মিলিয়ে গোটা দলের জন্যই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তবে বোলাররা, বিশেষ করে স্পিনাররা দারুণ করেছেন।'
চোটের কারণে এই সিরিজে আফগানরা পাচ্ছে না ওপেনিংয়ের বড় ভরসা ইব্রাহিম জাদরান ও স্পিন আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুজিব উর রাহমানকে। তার পরও জিততে সমসা হয়নি তাদের। সবশেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এই দুজনকে ছাড়া সিরিজ জিতেছে তারা। শাহিদির মতে, আফগান ক্রিকেটের গভীরতাই ফুটে উঠছে এসবে। তিনি বলেন, 'আমি খুবই খুশি যে, আমাদের অনেক তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছেন। যারা নেই, তাদের বিকল্পদের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। ইব্রাহিমের না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। এই মুহূর্তে সে আফগানিস্তানের সেরা ওপেনার। মুজিব আমাদের জন্য যা করেছে, তা দারুণ। কিন্তু তার অভাব বোঝা যায়নি। আশা করি, দল হিসেবে আমরা আরও ভালো করব। প্রথম ম্যাচের জয়ে আমরা খুবই খুশি। এখন তাকিয়ে আছি পরের দুই ম্যাচের দিকে।'