অবশেষে ফিফটির দেখা পেলেন শান্ত

ওয়ানডে সিরিজ

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানেডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ ২২ রানে আউট হলেও দলনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৭ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট ২৫২ রান করে তারা -ওয়েবসাইট
উইকেটে সেট হয়েও তানজিদ তামিম-সৌম্য সরকারের দু'জনেই উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। তবে দলের দুই ওপেনারকে হারানোর চাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দিলেন না টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথমে সৌম্য এবং পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের হাল ধরেন অধিনায়ক। এরই মধ্যে রান তোলার পথে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। ৭৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পান তিনি। যদিও তাতে ছিল ৪৬টি ডট বল। হাফসেঞ্চুরির পর ছুটছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেবার মাঝপথে ফিরেছেন মিরাজ। ২২ রান করে মিরাজ ফিরলে তাওহিদের সঙ্গে নতুন জুটি বেঁধেছেন শান্ত। তাওহিদও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। মাত্র ১১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। আর শেষ দিকে জাকের আলী অনিকের অপরাজিত ৩৭ এবং নাসুম আহমেদের ২৫ রানের উপর ভর করে ৭ উইকেটে ২৫২ রানেল লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নবির ক্যাচ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৭৬ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। ১৮৩ রানে বাংলাদেশ হারালো পঞ্চম উইকেট। নানগেয়ালিয়া খারোটে একই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউলস্নাহকে ৩ রানে আজমতউলস্নাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ বানান। প্রথম ওয়ানডেতে ২ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান এবার একটি রান বেশি করেছেন। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৩২ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়েছে তারা। চলতি বছর মার্চে সর্বশেষ ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও এর মাঝে আর মাত্র ৪টি ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও ৪৭ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। তবে শারজায় আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংসটাকে ফিফটির মাইলফলক পার করালেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তবে সব ফরম্যাচ মিলিয়ে ১১তম ইনিংসে এসে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান করেছিলেন শান্ত। ভালো শুরুর পর তানজিদ তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে এসে সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে, ৪৯ বলে ৩৫ রান করে ফিরে যান সৌম্য। এর আগে আউট হন সৌম্য সরকার। ব্যাট হাতে ভালো সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছেন, দারুণ দারুণ কিছু শটসও খেলছেন; কিন্তু আগের ম্যাচের মত ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারলেন না সৌম্য সরকার। এদিন তিনি আউট হয়ে গেলেন ৩৫ রান করে। রশিদ খানের বলে এলবিডবিস্নউ হয়ে গেলেন তিনি। দলীয় ৯৯ রানে রশিদ খানের বলে লেগ বিফোর হন সৌম্য। ভাঙে ৭১ রানের জুটি। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিচ্ছেন শান্ত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছাড়িয়েছে শতরান। ওপেনিং আর হতাশা- বাংলাদেশ দলের কাছে একই বৃন্তে দুটি ফুল। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি শনিবারও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো শুরুই করেছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। ২০ বলে আসে ২৮ রান। সেটি ধরে রাখতে পারেননি তামিম। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মোহাম্মদ গজনফরের স্পিনে মিড অনে রিপিট শট খেলেন। আগের বলে একই শটে ছক্কা এলেও পরের শট ছিল দুর্বল। ধরা পড়ে মোহাম্মদ নবীর হাতে। ১৭ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২২ রান করে বিদায় নেন তামিম। বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। প্রথম ম্যাচে খুব ভালো অবস্থানে থাকার পরও লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হলো বাংলাদেশকে। আজ শারজায় সিরিজ বাঁচানোর লড়াই বাংলাদেশের। হারলেই সিরিজ খোয়াতে হবে। জিতলে সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে সিরিজ জয়ের। আর এমন পরিস্থিতিতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে বেশ ভালো সূচনাই করে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা দু'জন। কিন্তু সেই আলস্নাপহ মোহাম্মদ গজনফারের রহস্যময় ঘূর্ণির রহস্যভেদ করতে পারলেন না তানজিদ তামিম। আগের বলটি ছিল ফুলটস। যে কারণে শট খেলেছিলেন তিনি। পরের বলটাও ফুলটসের মত ছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফুলটস হয়নি। আগের বলের মতোই শট খেলতে গিয়ে মিড অনে আলতো করে ক্যাচটা তুলে দিলেন তামিম। হাত তুলে খাপ মেরেই ছিলেন যেন মোহাম্মদ নবি। ক্যাচ উঠতেই তালুবন্দি করে নিলেন তিনি। এরপর শান্ত এবং সৌম্য সরকারের জুটিটা দারুণভাবে জমে উঠছিল। কিন্তু সেটা ৬৭ রানের বেশি টিকলো না।