ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয়ে মেসির হ্যাটট্রিক

আমি এইসব (গোল্ডেন শু) নিয়ে ভাবছি না। এই পুরস্কার আমার মাথাতেই নেই। লিভারপুলের বিপক্ষে হার এখনো পোড়াচ্ছে আমাদের, বিশেষ করে আমাকে। এটা আমার ক্যারিয়ারের খারাপ স্মৃতিগুলোর একটি

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গোল্ডেন শু হাতে লিওনেল মেসি
ক্রীড়া ডেস্ক পুরো মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থেকে পিচিচি ট্রফি জয় নিশ্চিত করেছেন আগেই। সে ধারাবাহিকতায় এবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। দুটি পুরস্কারই টানা তৃতীয়বারের মতো জিতলেন বার্সেলোনার এই তারকা। এবারের লা লিগায় ৩৪ ম্যাচ খেলে মোট ৩৬ গোল করেন মেসি। সতীর্থদের দিয়েও ১৩টি গোল করান বার্সেলোনা অধিনায়ক। মেসি এবার গোল্ডেন শু জিতলেন ৩১ বছর ১১ মাস ২৫ দিনে। মেসির চেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার মাত্র একজন জিতেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মেক্সিকান তারকা হুগো সানচেজ। ১৯৯০ সালে সানচেজ যখন গোল্ডেন শু জেতেন, তার বয়স ছিল মেসির চেয়ে এক মাস এক দিন বেশি। ১৯৬৮ সালে পুরস্কারটি দেয়া শুরুর পর থেকে এই প্রথম টানা তিনবার তা জয়ের অনন্য কীর্তি গড়লেন ৩১ বছর বয়সী মেসি। এর আগে ২০০৯-১০, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে পুরস্কারটি জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। ইউরোপের লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার গোল্ডেন শু জয়ের দৌড়ে ৩২ গোল নিয়ে লড়াইয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। মেসিকে ছাড়াতে শুক্রবার লিগ ওয়ানে স্তাদ দে রেঁসের বিপক্ষে পিএসজির শেষ ম্যাচে পাঁচ গোল করতে হতো ফরাসি ফরোয়ার্ডকে। ৩-১ ব্যবধানে দলের হারের ম্যাচে একবারের বেশি জালে বল পাঠাতে পারেননি তিনি। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় মেসির রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো পুরস্কারটি জয়। এমবাপের চেয়ে তিন লিগ গোল বেশি নিয়ে মৌসুম শেষ করলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার পুরস্কারটি জিতেছেন পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবার দিয়ে টানা ১১ বার লা লিগা থেকে হলো গোল্ডেন শু জয়ী। যদিও ২০১৪ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে পুরস্কারটি ভাগাভাগি করেছিলেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা লুই সুয়ারেজ। সবশেষ রোনালদোই লা লিগার বাইরের খেলোয়াড় হিসেবে এককভাবে পুরস্কারটি জিতেছিলেন ২০০৭-০৮ মৌসুমে। সেবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৩১ গোল করেছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। পর্তুগিজ যুবরাজ রোনালদো ইতালিতে পাড়ি জমালেও গোলের ধারা সচল রেখে মেসি আরেকবার হাতে তুলেছেন গোল্ডেন শু। পুরস্কার জিতলেও লিভারপুলের বিপক্ষে হারটা পুড়িয়ে মারছে তাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জেতার পরও ফাইনালে যেতে পারেনি বার্সেলোনা। সেই ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন মেসি। আর তাই পুরস্কার জেতার পর মেসি বলেছেন, 'আমি এইসব (গোল্ডেন শু) নিয়ে ভাবছি না। এই পুরস্কার আমার মাথাতেই নেই। লিভারপুলের বিপক্ষে হার এখনও পোড়াচ্ছে আমাদের, বিশেষ করে আমাকে। এটা আমার ক্যারিয়ারের খারাপ স্মৃতিগুলোর একটি।' উলেস্নখ্য, চলতি মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা-লিভারপুল। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠার রাস্তাটা প্রায় পাকাই করে ফেলেছিলেন মেসিরা। কিন্তু রূপকথা লিখে পরের লেগে কাতালানদের ৪-০ গোলে হারিয়ে দেয় লিভারপুল। তাতে নিশ্চিত হয় মেসিদের বিদায়। ফাইনালে উঠে যায় লিভারপুল।