ওয়ানডে ক্রিকেটে অসাধারণ পথচলায় আরেকটি শতকের স্বাদ পেলেন সাইম আইয়ুব। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরাও পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেললে তিনশ ছাড়ান স্কোর দাঁড় করাল পাকিস্তান। পরে সুফিয়ান মুকিমের স্পিনের জবাব দিতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ জয়ে ইতিহাস গড়ে বছর শেষ করল পাকিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান। রোববার রাতেওয়ান্ডারার্সে শেষ ওয়ানডেও জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করল তারা। ঘরের মাঠে এই প্রথম কোনো ওয়ানডে সিরিজে সব ম্যাচ হারল প্রোটিয়ারা। বৃষ্টিতে ৪৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ৩৬ রানে। সাইমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান করে সফরকারীরা। পরে হাইনরিখ ক্লসেনের ঝড়ে কিছুটা আশা জাগালেও ৫ ওভার বাকি থাকতেই ২৭১ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে আগামী শুক্রবার বক্সিং ডে টেস্ট দিয়ে শুরু হবে দুই ম্যাচের সিরিজ।
ঘরের মাঠে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা পেতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ওয়ান্ডারার্সে বৃষ্টি বিঘিন্ত ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে তারা হেরেছে ৩৬ রানে। ব্যাট ও বল হাতে সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এবং ৩৪ রান খরচায় এক উইকেট নিয়ে আলো ছড়ান সাইম আইয়ুব। অভিষিক্ত রিস্ট স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৫২ রানে চার উইকেট নিয়ে স্পিনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার সামর্থ্যকে করলেন প্রশ্নবিদ্ধ।
আর এই বছর তিনটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে মাত্র একটি জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শারজায় হেরেছিল আফগানিস্তানের কাছে। ২০২৩ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া সাদা বলের কোচ রব ওয়াল্টারের অধীনে ছয় ওয়ানডে সিরিজে মাত্র দুটি জিতেছে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে পাকিস্তান টানা পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতলো, তারা হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়েকেও
সংক্ষিপ্ত স্কোর:পাকিস্তান: ৪৭ ওভারে ৩০৮/৯ (সাইম ১০১, শাফিক ০, বাবর ৫২, রিজওয়ান ৫৩, কামরান ০, সালমান ৪৮, তাহির ২৮, আফ্রিদি ০, নাসিম ৫*, হাসনাইন ৪, সুফিয়ান ০*; রাবাদা ৩/৫৬, ইয়ানসেন ২/৫৮, মাফাকা ১/৫০, বশ ১/৬৯, ফোরটান ২/৫৬, মার্করাম ০/১৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (লক্ষ্য ৪৭ ওভারে ৩০৮) ৪২ ওভারে ২৭১ (ডি জর্জি ২৬, বাভুমা ৮, ফন ডার ডাসেন ৩৫, মার্করাম ১৯, ক্লসেন ৮১, মিলার ৩, ইয়ানসেন ২৬, বশ ৪০*, ফোরটান ৮, রাবাদা ১৪, মাফাকা ০; আফ্রিদি ২/৭০, নাসিম ২/৬৩, হাসনাইন ১/৪১, সাইম ১/৩৪, সুফিয়ান ৪/৫২, সালমান ০/৭)
ফল: ডিএলএস পদ্ধতিতে পাকিস্তান ৩৮ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ৩-০তে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাইম আইয়ুব
সিরিজসেরা: সাইম আইয়ুব