মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে পুনর্মিলনের আভাস নেইমারের

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বার্সেলোনার মতো আবারও যুক্তরাষ্ট্রের লিগে এক সঙ্গে খেলতে চান সুয়ারেজ, নেইমার ও মেসি -ওয়েবসাইট
একের পর এক চোটে আল-হিলালের হয়ে তেমন একটা মাঠে নামার সুযোগ মিলছে না নেইমারের। আপাতত মাঠের বাইরে থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা দিলেন সৌদি ফুটবল ছাড়ার আভাস। সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে দুই সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের ইন্টার মায়ামি। ফুটবলের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল ও ভয় জাগানিয়া ফরোয়ার্ডদের একজন নেইমার স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় মেসি ও সুয়ারেজের সঙ্গে গড়েছিলেন ভয়ঙ্কর এক ত্রিফলা আক্রমণভাগ। তাদের আদ্যক্ষর দিয়ে পরিচিতি পাওয়া 'এমএসএন' ভাঙে রেকর্ড ভাঙা ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমার ২০১৭ সালে পিএসজিতে পাড়ি জমালে। সিএনএনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নেইমার জানালেন,' অবশ্যই মেসি ও সুয়ারেজের সঙ্গে আবার খেলা হবে অবিশ্বাস্য। তারা আমার বন্ধু এবং এখনও আমরা কথা বলি। সেই ত্রয়ীকে পুনরুজ্জীবিত করা আকর্ষণীয় হবে। আমি আল-হিলালে সুখী, আমি সৌদি আরবে সুখী। তবে কে জানে, ফুটবল তো চমকে পূর্ণ।' ২০২৩ সালে ৯ কোটি ইউরোয় পিএসজি ছাড়ার পর আল-হিলালের হয়ে কেবল সাতটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন নেইমার। একের পর এক চোটে লম্বা সময় মাঠের বাইরেই থাকতে হচ্ছে তাকে। সৌদি আরবের ক্লাবটিতে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে। পিএসজিতে ছয় মৌসুমে ১১৮ গোল করেন নেইমার। ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলে বেশ সাফল্য পেলেও পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অধরা শিরোপা এনে দিতে পারেননি তিনি,' যখন আমার পিএসজি ছাড়ার খবর এলো, তখন যুক্তরাষ্ট্রে দলবদলের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমার (২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার) সুযোগ ছিল না।' ৭৯ গোল করে ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। জাতীয় দলে তার অধ্যায় শেষ হতে পারে বড় কোনো শিরোপা না জিতেই। ২০২৬ বিশ্বকাপে শেষ একটা চেষ্টা করতে চান ৩২ বছর বয়সি তারকা,' আমি চেষ্টা করব, আমি সেখানে থাকতে চাই। জাতীয় দলের অংশ হতে আমি সব কিছুই করব।' ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপে বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার সময় এসিএল চোটে পাওয়ার পর আর ব্রাজিলের জার্সিতে দেখা যায়নি নেইমারকে,' আমি জানি, এটা হবে আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার শেষ চেষ্টা, আমার শেষ সুযোগ। সেটায় খেলার জন্য আমি সবকিছু করব।' বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল। এখান থেকে সরাসরি ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলবে শীর্ষ ছয় দল।