আজ জ্বলে উঠতে পারেন যারা

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জসপ্রিত বুমরাহ (ভারত) জসপ্রিত বুমরাহর বোলিং অ্যাকশন একেবারেই আলাদা। ওভারের পর ওভার দারুণ লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে বল করতে পারেন তিনি। নির্ভুল ইয়র্কার দেয়ার অসামান্য দক্ষতা আছে। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন-আপ একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি পেসার। ছয় বছর আগে ভারতের সাবেক এবং আইপিএল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ জন রাইটের চোখে পড়েন বুমরাহ। এরপর এ ক'বছরে টিম ইন্ডিয়ার তো বটেই, বিশ্বেও সেরা বোলার হয়ে উঠেছেন। এখন আইসিসি ওডিআই বোলিংর্ যাংকিংয়ে একনম্বরে তিনি। বিশ্বকাপে সাফল্যের জন্য কোহলির তুরুপের তাস হতে পারেন জসপ্রিত। রোহিত শর্মা (ভারত) প্রতিপক্ষের বোলারদের অনায়াসে নাস্তানাবুদ করার ক্ষমতা থাকার জেরে ক্রিকেট ভক্তরা রোহিত শর্মার নাম দিয়েছে 'হিটম্যান' ও 'ছক্কা রোহিত'। উদ্বোধনী জুটিতে দলের ভালো শুরু এনে দিতে রোহিতের জুড়ি নেই। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে তার ব্যাট হাসে সবচেয়ে বেশি। এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে কোহলি, ধাওয়ানদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্তে দলকে আগলে রেখেছেন তারকা এই খেলোয়াড়। দুর্দান্ত এক শতকে নিজে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ব্যাটের স্পর্শে প্রতিনিয়ত একের পর এক রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলায় মেতে উঠেছেন রোহিত। কুলদীপ যাদব (ভারত) তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পেতে ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে হয়ে উঠতে পারেন চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরেক স্পিনার চাহালের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডু পেস্নসিদের ব্যাটিংয়ে ধস নামান এই ক্রিকেট বিস্ময়। সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে ২-১ ব্যবধানে ভারতীয় দলের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে তিন ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করে বিশ্বমিডিয়ায় আলোচনায় আসেন যাদব। ক্যারিয়ারে একদিনের ম্যাচে এ পর্যন্ত ৪৪ উইকেট শিকার করা যাদব বর্তমানে তার সেরা ফর্মে না থাকলেও ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে পাখির চোখ থাকবে তার দিকেও। স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া) বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির দায়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে দলে ফিরেই বিশ্বকাপ আসরের প্রথম দুই ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। ওয়েস্ট ইন্ডিজদের সঙ্গে দলের বিপর্যয়ে কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। এ ছাড়া গেল এক বছরেও তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন নিন্দা, সমালোচনা পাশ কাটিয়ে চলার কতটা ক্ষমতা তার। নিষেধাজ্ঞা শেষে আইপিএলে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ছিলেন ধারাবাহিক। ওয়ানডেতে গত দুই বছর আগের রেকর্ড ঘাঁটলেই দেখা যাবে, কীভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ বোলারদের দুঃস্বপ্ন হয়েছেন স্মিথ। তাই আশা করাই যায়, কোহলিদের বিপক্ষে আবারও জ্বলে উঠতে পারেন স্মিথ। মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া) সতীর্থরা ভালোবেসে ডাকেন 'বিটি' মানে 'বিগেস্ট থ্রেট'। মিডল অর্ডারে মেটাতে পারেন সময়ের দাবি। সঙ্গে কার্যকর মিডিয়াম পেস। বিগব্যাশে তার পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো। সেই টুর্নামেন্ট ৫৩.৩০ গড় ও ১৩০.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৩৩ রান করেছিলেন স্টয়নিস। দলে সেভাবে নিজের জায়গা পাকা করতে পারছিলেন না স্টয়নিস। ২০১৭ সালে আবার দলে ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেন তিন উইকেট। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। এবারের আসরে তিনি হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার 'ল্যান্স ক্লুজনার'। মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া) ইংল্যান্ডের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা 'গেম চেঞ্জার' হতে পারেন মিচেল স্টার্ক। আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে দেখিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি সবার চেয়ে আলাদা। গত ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ে একাই ধস নামান এ বোলার। মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে গত বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল স্টার্কের। সেবার সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছিলেন স্টার্ক। যদিও চোটের কারণে এতদিন খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এবারের বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে স্টার্কের। প্রতিপক্ষের সমীহের পাশাপাশি ক্যাঙ্গারুবাহিনীর ত্রাতা হতে পারেন তিনিই।