চাপ না নিলে ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ : মৌসুমী

নারী ফুটবলের অন্যতম তারকা মিশরাত জাহান মৌসুমী। ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব ১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কিছুদিন আগে শেষ হওয়া বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন এই ফুটবলার। ফুটবলই তার ধ্যানজ্ঞান। তবে ছোটবেলায় ক্রিকেটও খেলেছেন। তার কাছে বেশ ভালো লাগে খেলাটা। এবার বিশ্বকাপে নিজের দেশই তার ফেবারিট। তার মতে চাপ না নিয়ে খেললে বাংলাদেশের বর্তমান দলটির পক্ষে ফাইনালে খেলা অসম্ভব কিছু না। দৈনিক যায়যায়দিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মৌসুমী জানালেন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা। যাযাদি পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি : ক্রিকেট কেমন লাগে? খেলা কি দেখা হয়? মৌসুমী : জি, সময় পেলে দেখা হয়। ছোটবেলায় শখের বশে ক্রিকেট খেলেছি। এখন ক্রিকেট খেলা খুব একটা দেখা না হলেও বাংলাদেশের খেলা হলে দেখার চেষ্টা করি। ক্রিকেট সম্পর্কে খোঁজখবরও রাখি। এবারের বিশ্বকাপে নিজের দেশকেই সমর্থন দিচ্ছি। তারাই আমার প্রিয় দল। তাদের জন্য শুভকামনা, যেন ফাইনালে খেলতে পারে। আমার মতো দেশবাসীরও একই প্রত্যাশা। আশা করি তারা সেটি পূরণ করতে পারবে। যাযাদি : বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও আরো অনেক বাঘা বাঘা দল আছে। লাল-সবুজদের কোন বিষয়টি দেখে আপনার মনে হয় যে তারা সেমিফাইনাল বা ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখে? মৌসুমী : যতটুকু জানি বাংলাদেশের বর্তমান টিমটি একটি ব্যালান্স টিম। এই দলে এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যারা যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। সাকিব, তামিম, মোস্তাফিজের মতো আরো অনেক কোয়ালিফাইড ক্রিকেটার আছেন বর্তমান টিমে। আমার বিশ্বাস, চাপ না নিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই বাংলাদেশ ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারবে। যাযাদি : যদি বাংলাদেশ ফাইনালে খেলে, তার আগে সেমিফাইনাল পেরুতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন তিন দল সেমিতে খেলার যোগ্যতা রাখে বলে আপনি মনে করেন? মৌসুমী : আমার মনে হয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড খেলতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়া গত আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে তাদের ওপর প্রত্যাশার চাপটা একটু বেশি থাকবে। যাযাদি : বাংলাদেশের বাইরে কোন কোন ক্রিকেটারকে ভালো লাগে? মৌসুমী : ভারতের শচীন টেন্ডুলকার, অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের খেলা ভালো লাগত। তবে এখন সেই মানের ক্রিকেটার খুব একটা দেখি না। তবে মৌসুমী জানান, আবাসিক ক্যাম্পে থাকায় তিনিসহ ৫৪ ফুটবলারকে কঠোর ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯টার মধ্যে শুয়ে পড়তে হয়। তবে বিশ্বকাপে কিছুটা ব্যতিক্রম হচ্ছে। বাংলাদেশের খেলার দিনে টিভিতে খেলা দেখতে পারেন তারা। সবাই বেশ মজা করে নিজের দেশের খেলা উপভোগ করেন।