পাকিস্তানে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান নাহিদ

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
পাকিস্তানে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গতির ঝড় তুলতে চান বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার নাহিদ রানা ওয়েবসাইট

পাকিস্তানের মাটিতে গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের টেস্ট সফর দিয়ে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেশের বাইরে খেলতে গিয়েছিলেন নাহিদ রানা। সেই একই ভূমিতে এবার তিনি যাচ্ছেন নিজের প্রথম কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ঘোষিত দলের সঙ্গে রানা বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছেন। যেখানে টুর্নামেন্ট শুরুর দ্বিতীয় দিন (২০ ফেব্রম্নয়ারি) ভারতের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। বর্তমান সময়ে দেশের ক্রিকেটে অন্যতম আলোচিত নাম নাহিদ রানা। তরুণ এই পেসার গত বছর বল হাতে গতির ঝড় তুলে ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পারফর্ম করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশ, ইয়ান বিশপ থেকে শুরু করে বিপিএলে চিটাগাং কিংসের কোচিং করানো শন টেইটের কাছ থেকেও। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলেও বোলিংয়ে গতি ও লাইন-লেংথের সমন্বিত প্যাকেজে রানার ফর্ম ছিল ঈর্ষণীয়! আইসিসির প্রথম কোনো মেগা ইভেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে সংবাম মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ জাতীয় দলে থাকা ২২ বছর বয়সি এই পেসার। যেখানে তিনি জাতীয় দলে ডাক পাওয়া, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের লক্ষ্য ও বড় মঞ্চে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। যায়যায়দিন পাঠকদের জন্য নাহিদ রানার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন : প্রথমবার আইসিসি টুর্নামেন্টে ডাক পেলেন, খবরটি শুনে অনুভূতি কেমন ছিল? নাহিদ রানা : আলহামদুলিলস্নাহ, অবশ্যই ভালো লেগেছে। আইসিসির কোনো ইভেন্টে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশ দলে। এটা অবশ্যই দারুণ অনুভূতির। প্রশ্ন : আপনার ক্যারিয়ারে খেলা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? নাহিদ রানা : হ্যাঁ অবশ্যই, এটাই আমার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বড় টুর্নামেন্ট। পরিবার সবসময় সমর্থন করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে যখন ডাক পাই, তখনই পরিবার থেকে ভালো করে খেলার কথা বলেছিল। বলছে দেশ ও দলের জন্য খেলতে। একইসঙ্গে যেন ফিট ও সুস্থ থাকি সেটাও চায় পরিবার। প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চয়ই বড় মঞ্চ, কতটুকু প্রস্তুতি নিতে পেরেছেন? নাহিদ রানা : আলহামদুলিলস্নাহ প্রস্তুতি নিয়েছি যতটুকু পারা যায় আরকি। নিজের মতো করে (নিয়েছি)...কোচরাও ছিলেন। শেষ কয়েকদিনে পরিশ্রম করেছি। অনুশীলন করেছি সবার সঙ্গে। প্রশ্ন: গতিতারকা নাহিদ রানাকে ভালো করে চেনানোর মঞ্চ নিশ্চয়ই এই টুর্নামেন্ট? নাহিদ রানা : এগুলো আসলে মাথায় নিচ্ছি না আপাতত। কিন্তু চেষ্টা থাকবে অবশ্যই ভালো করার। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারলে তো অবশ্যই ভালো লাগে। দলের হয়ে যেখানে সুযোগ পাব, সেখানেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। যা অতীতেও বলেছি, এখনও বলছি। এই ইভেন্টে ভালো কিছু করার লক্ষ্যুই থাকবে। প্রশ্ন : ইতোমধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে খেলেছেন, ভালো করারও অভিজ্ঞতা আছে। সেটিকে বাড়তি সুবিধা মনে করেন কি না? নাহিদ রানা : হ্যাঁ, কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। কেননা আমি সেখানে খেলেছি, সেখানকার পরিবেশ-উইকেট সবকিছু সম্পর্কে আমার একটা ধারণা আছে। চেনা-জানা থাকার কারণে একটু সুযোগ-সুবিধা থাকবেই। আমি সেই সুবিধাটা আসলে বল হাতে কাজে লাগাতে চাই। বাকিটা আলস্নাহ ভরসা। প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রম্নপপর্বে তিনটা ম্যাচই বড় দলের বিপক্ষে, এতে বেশ চাপ দেখছেন নিশ্চয়ই? নাহিদ রানা : না, চাপ নিচ্ছি না। কারণ চাপ নিলে আসলে ভালো কিছু কখনোই সম্ভব হয় না। জাস্ট চেষ্টা থাকবে নিজের কাজটা ঠিকভাবে করার। দলের হয়ে কিভাবে কন্ট্রিবিউট করা যায় সেটাই লক্ষ্য। 'আমি আসলে ফাইনাল নিয়ে চিন্তা করছি না। এতদূর চিন্তা করতে চাচ্ছিুও না। সেটা করলে একটু সমস্যা হবে। এ কারণে আমি আসলে প্রত্যেক ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। মূলত (টুর্নামেন্টের) শুরুটা ভালো করতে চাই।' প্রশ্ন : ভারত-পাকিস্তান নাকি নিউজিল্যান্ড, কোনো দলের সঙ্গেই জয় পাওয়াটা সহজ হবে না? নাহিদ রানা : আগে সেখানে যাই। যেখানে তিনটা দলই শক্তিশালী। তবে প্রত্যেকটা ম্যাচের আগেই আমরা জয়ের জন্য নামব। সেভাবেই সাজাব নিজেদের ভেতরের পরিকল্পনাটাও। আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচেই জয়ের পরিকল্পনা করে মাঠে নামব। প্রশ্ন : বর্তমানে বাংলাদেশের পেস বিভাগে দারুণ প্রতিযোগিতা চলছে, বর্তমান স্কোয়াডের পেস ইউনিটকে কীভাবে দেখছেন? নাহিদ রানা : আপনি বলতে পারেন বর্তমানে বাংলাদেশের সব পেসাররা কিন্তু অনেক ভালো করছে। আলাদা একটা প্রতিযোগিতা কাজ করছে এখানে। দলের বাইরে যারা আছে তারাও কিন্তু অনেক ভালো খেলছেন। এভাবে প্রতিযোগিতায় থাকাটা কিন্তু (দলের জন্য) অনেক ভালো দিক। প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ শেষবার সেমিফাইনাল খেলেছিল, এবার কী লক্ষ্যটা ফাইনাল? নাহিদ রানা : আমি আসলে ফাইনাল নিয়ে চিন্তা করছি না। এতদূর চিন্তা করতে চাচ্ছিুও না। সেটা করলে একটু সমস্যা হবে। এ কারণে আমি আসলে প্রত্যেক ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। মূলত (টুর্নামেন্টের) শুরুটা ভালো করতে চাই।