সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই শঙ্কা শিখর ধাওয়ানের ক্রীড়া ডেস্ক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ। ইনজুরিতে পড়েছেন শিখর ধাওয়ান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা এই তারকা ক্রিকেটার তিন সপ্তাহের জন্য চলে গেলেন মাঠের বাইরে। ভারতীয় শিবিরে দুঃসংবাদ! মঙ্গলবার জানা গেল, চোটের জন্য অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছেন শিখর ধাওয়ান। রোববার কেনিংটন ওভালে শতরান করা ম্যাচেই বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েছিলেন এই ভারতীয় ওপেনার। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা কমপক্ষে ২১ দিন বিশ্রাম দেয়ার পরামর্শ দেন তাকে। বৃহস্পতিবার ট্রেন্টব্রিজে নিউজিল্যান্ড ও রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে দেখা যাবে না তাকে। এমনকি বিশ্বকাপও শেষ হয়ে যেতে পারে ধাওয়ানের। বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার থেকে সেরে ওঠা অল্প সময়ে কঠিন। মঙ্গলবার আঙুলে স্ক্যান করানো হবে ধাওয়ানের। এরপরই ভারতীয় ওপেনারের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে মন্তব্য করবেন ভারতীয় দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট। রোববার ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নাথান কোল্টার নাইলের বলে বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান ধাওয়ান। তারপরও খেলা চালিয়ে যান। আর তুলে নেন শতরান। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৯ বলে ১১৭। এরপর অবশ্য অজিদের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে দেখা যায়নি ধাওয়ানকে। গোটা ম্যাচেই ফিল্ডিংয়ে ছিলেন বদলি ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। আর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারায় ভারত। বিশ্বকাপ শেষ স্টয়নিসের! ক্রীড়া ডেস্ক একে তো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হারতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তারপর সে ম্যাচে পাওয়া ইনজুরিতে বিশ্বকাপই শেষ হওয়ার পথে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টয়নিসের। সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়ে বিশ্বকাপের মাঝপথেই দেশে ফিরতে হতে পারে তাকে। তার জায়গায় পেস অলরাউন্ডার মিচেল মার্শকে ব্যাকআপ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে অজিরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে পাওয়া যাবে না স্টয়নিসকে। তবে ইনজুরি গুরুতর হওয়ায় তাকে বদল করতে হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টকে। নিঃসন্দেহে অসিদের জন্য এটা বড় ধাক্কা। ব্যাট হাতে কিছু না করতে পারলেও ভারতের বিপক্ষে বল হাতে দারুণ করেছেন। ৬২ রানের খরচায় পেয়েছিলেন ২টি উইকেট। যেখানে ভারত ৫ উইকেটে রান তুলেছিল ৩৫২। এ ছাড়াও এমএস ধোনি ও বিরাট কোহলির ক্যাচও ধরেছিলেন দারুণ দক্ষতায়। অন্যদিকে, ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন মার্শ। যদিও ফাইনাল ম্যাচ খেলেননি। ছিলেন চলতি বিশ্বকাপের ভাবনাতেও। তবে জায়গা হয়নি তার। স্টয়নিসের ইনজুরিতে ভাগ্য খুলতে পারে এ অলরাউন্ডারের। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া এ দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলছিলেন। ধারণা করা হয় ফিটনেসের দিক থেকে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন এই অলরাউন্ডার। এখনই অবসর ভাবনা নেই রোনালদোর ক্রীড়া ডেস্ক বয়স ৩৪। কিন্তু সেটাকে নিতান্তই একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তাই তো এখনো মাঠের ফুটবলে দাপট দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সিআর সেভেন। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার পর্তুগালকে উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপা জেতাতে বড় অবদান রাখেন তিনি। মূলত এরপর থেকেই আরও শিরোপা জেতার ক্ষুধাটা বেড়েছে জুভন্টাসের তারকা এই ফরোয়ার্ডের। যে কারণে এখনই অবসর নিয়ে ভাবনা নেই তার। নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে নেশনস লিগের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা গতকাল জিতেছে পর্তুগাল। ফাইনালে গোল না পেলেও সেমিফাইনালে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছিলেন সিআর সেভেন। পর্তুগাল দলে বর্তমানে তারুণ্যের আধিপত্য। তারপরও সেখানে খেলাটা দারুণ উপভোগ করেন রোনালদো। যা আরও বেশ কয়েকবছর চালিয়ে যেতে চান তিনি, 'পর্তুগাল ইউরো ২০১৬-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জিতেছে এবং এখন নেশনস লিগ। এটি সহজ কাজ মনে হতে পারে। তবে অনেক কঠিন ছিল। অনেক আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এটি অর্জিত হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত আমার শক্তি থাকবে এবং অনুপ্রেরণা পাবো, ততদিন পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করব। যখন আমি জাতীয় দলের সঙ্গে থাকি তখন মনে হয় যেন বাড়িতে আছি।' ২০০৪ সালে ক্যারিয়ারের শুরুতে ইউরো কাপের ফাইনালে হারের স্মৃতি রয়েছে রোনালদোর। সেই তিনিই ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে তিন বছরের ব্যবধানে জিতেছেন দুটি ট্রফি। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত, 'আমি ১৬ বছর ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে আছি। ১৮ বছর বয়সে যেমন উদ্দীপনা পেতাম এখনো ঠিক তেমনটা পাই। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে এই উদ্দীপনা ধরে রাখতে চাই, গোল করতে চাই এবং পর্তুগালকে আরও শিরোপা জিততে সাহায্য করতে চাই।'