'ভারতের বিপক্ষে শিহরণ জাগানিয়া ম্যাচ হবে'

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফুটবল কোচ কাবরেরার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জামালের
ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচকে সামনে রেখে শনিবার থেকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রস্তুতি শুরু করবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দিতে শুরু করেছেন। ভারত ম্যাচের জন্য সবাই যে মুখিয়ে আছেন, তা আবারও পরিষ্কার হলো। প্রাথমিক দল ৩৮ জন থেকে কমিয়ে ৩০ জনের করেছেন কারবেরা। ঢাকার প্রস্তুতি তিনি শুরু করবেন ২৮ জনকে নিয়ে। আট জনকে অনুশীলনে না দেখেই বাদ দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন কোচ কাবরেরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের খেলা দেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানালেন কাবরেরা, 'ভারত ম্যাচের আগে চার সপ্তাহের প্রস্তুতির সুযোগ পাচ্ছি। অনেকদিন পর সবাইকে একসঙ্গে পাওয়াটা ইতিবাচক ব্যাপার। কেননা, এ সময়ে আমরা গেম পস্ন্যান নিয়ে কাজ করতে পারবো। সৌদিতে প্রায় দুই সপ্তাহ প্রস্তুতি নিবো। এরপর ঢাকায় ফিরে শিলংয়ে রওনা দেবো। আমি মনে করি, আমরা পরিপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।' এরপরই যোগ করলেন, 'লিগে দশম রাউন্ডের খেলার পর আমি এই আট জনকে বাদ দিয়েছি। ওদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।' যদিও বাদ দেওয়ার ঘোষণার পরও একাধিক খেলোয়াড় বলেছিলেন, কাবরেরা কোনও যোগাযোগ করেননি! স্প্যানিশ কোচ বললেন, 'ফুটবলে এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। শেষ পর্যন্ত হামজাকে আমরা পাচ্ছি। সে নিজেও এই ম্যাচটা নিয়ে ভীষণ শিহরিত। হামজা ও ফাহমেদুলের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। কিছু ভিডিও ও নির্দেশনা(বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচের) তাদেরকে দিয়েছি। পরে তারা প্রস্তুতিতে যোগ দিবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই শিহরণ জাগানিয়া ম্যাচ হবে।' অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনের আশা, 'হামজার অন্তুর্ভুক্তি আমাদের দলের সবার জন্যই রোমাঞ্চকর ব্যাপার। ইতিবাচক ব্যাপার। তার লেস্টার সিটিতে খেলা আমি অনেক আগে থেকেই দেখি। আমার মনে হয়, তার আসা আমাদের ফুটবলের জন্য বড় একটা ব্যাপার।' দুই ফুটবলারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা তপুর, 'আশা করি, আমরা সবাই তাকে সহযোগিতা করতে পারবো। সে যখনই আসবে, সে যেন আমাদের সঙ্গেও তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারে, আমরা সেই চেষ্টা করবো। হামজার আসা আমাদের জন্যৃ আমি মনে করি, চাপ থাকা ভালো। চাপ থাকবেই। চাপ না থাকাই নেতিবাচক ব্যাপার।'