ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শুক্রবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ব্রাদার্স ইউনিয়ন হয়ে সেঞ্চুরি করেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও মিজানুর রহমান -ওয়েবসাইট
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) শুক্রবার ছিল তিনটি ম্যাচ। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২৮৮ রান সংগ্রহ করে শাইনপুকুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও, মাহফিজুল ইসলাম রবিন এবং মিজানুর রহমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্স ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে।
মিজানুর রহমান ও মাহফিজুল ইসলাম রবিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে দারুণ জয় পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আল আমিন হোসেনের ফাইফারের দিনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়লেও কোনো লাভ হয়নি শেষ পর্যন্ত। বিকেএসপিতে শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৮ রান করে শাইনপুকুর। তাড়া করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রাদার্স।
সর্বোচ্চ ১৩৬ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন মিজানুর। ১২৯ বলে ১০টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ৯৬ বলে দেখা পান শতকের। ১১৪ রান করেন ওপেনার রবিন। ১২৭ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। সেঞ্চুরি করেন ১১৭ বলে। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৬ রান করেন মিজান। তবে পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই ব্যাটারকে। এ ছাড়া রবিন আউট হন ১১৪ রান করে। গত বছর ইনজুরির কারণে বেশ ভুগেছেন রবিন, প্রতিভা এবং সম্ভাবনা থাকার পরেও নিয়মিত মাঠে নামতে পারেননি। চলমান ডিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচেই (৮৪ ও ১১৪) বড় রানের দেখা পেলেন তিনি।
দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মিজানুর-রবিন। দুজনে যোগ করেন ২৫০ রান। মিজানুর মাঠ ছাড়লে জুটির পতন হয়। এরপর অধিনায়ক মাইশুকুর রহমান ১৭ ও অলক কাপালি ৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। রাহিম আহমেদ নেন ২ উইকেট।
এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা না খোলার আগে গোলাম কিবরিয়ার শিকার হয়ে প্যাভলিয়নে ফিরে যান ইমতিয়াজ হোসেন তান্না। এরপরের গল্পটা শুধুই মিজান আর রবিনের। জোড়া শতকে ২৫০ রানের জুটি গড়েন দুজনে মিলে। তাতেই আসরে প্রথম জয় নিশ্চিত হয় ব্রাদার্সের। বিপরীতে শাইনপুকুরের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন রহিম আহমেদ।
ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুই পায় শাইনপুকুর। অনিক সরকারের ৪০, রহিম আহমেদের ৯৫ এবং রায়ান রাফসানের ৪৭ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে তারা। তবে প্রতিপক্ষ ব্রাদার্সের জোড়া সেঞ্চুরিও তাদের লড়াকু সংগ্রহকে অপর্যাপ্ত বলে প্রমাণ করে।
এর আগে মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন রাহিম। শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন তিনি। ৯৬ বলে ৫টি করে ৪টি ছক্কার মারে এই রান করেন রিনি। এ ছাড়া রায়ান রাফসান ৪৭ ও অনিক সরকার ৪০ রান করেন। ব্রাদার্সের হয়ে আল আমিন হোসেন একাই নেন ৫ উইকেট। ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন আল আমিন। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন অলক কাপালি।
