লড়াইটা দুই অধিনায়কেরও

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কাগজেকলমে শক্তিশালী দলের তকমা থাকলেও কখনো বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি ইংল্যান্ডের। অথচ কে বলবে এই দেশটিই বিশ্বকে ক্রিকেট শিখিয়েছে। অনেকবার শিরোপার খুব কাছাকাছি গিয়েও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে ইংলিশদের। সে আক্ষেপ এখনো হয়তো কুরে কুরে খাচ্ছে ক্রিকেটের পরাশক্তি এই দলটিকে। বিশ্বকাপের এবারের আসরের স্বাগতিক হওয়ায় সেই আক্ষেপ কাটানোর সুযোগ এসেছে তাদের সামনে। শিরোপা খরা কাটাতে মরগানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ইংল্যান্ড। স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা ও বেশির ভাগ দর্শকই নিজেদের হওয়ায় আরাধ্য সেই শিরোপার স্বাদ নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ তাদের সামনে। এ ছাড়া ফর্মের দিক থেকেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার মরগানরাই। এত এত সব প্রত্যাশার চাপ এখন পর্যন্ত ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন মরগান। ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের বিচারে বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন মরগান। গত ম্যাচে রশীদ, নবীদের তুলোধুনো করে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি করেন এ কাপ্তান। অন্যদিকে, লাসিথ মালিঙ্গার বিকল্প হিসেবে বিশ্বকাপে দিমুথ করুনারত্নেকে বেছে নিয়েছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। তবে লংকান ক্রিকেট বোর্ড যে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি তা বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। যদিও দলীয় অধিনায়ক হিসেবে এখনো তেমন সাফল্যের দেখা পাননি। কেবল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা আফগানদের বিপক্ষে হারতে গিয়েও এক মালিঙ্গার বোলিং নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় লংকানরা। এক অধিনায়ক ছাড়া পুরো লংকান শিবিরই অফ ফর্মে। যার খেসারত দিচ্ছে প্রতি ম্যাচ হারে। লংকানদের আশা ভরসার প্রতীক করুনারত্নের একটাই সমস্যা- ওডিআই ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার ঘাটতি। ২০১৫ সাল থেকে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেননি করুনারত্নে। তবে চমৎকার ব্যাটিং টেকনিক এবং নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছেন তিনি। গেল বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দিমুথ করুনারত্নের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জেতে শ্রীলংকা। এখন লংকান ক্রিকেটে ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি। তার নেতৃত্বেই বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ে ফিরতে চায় লংকানরা। দেখা যাক, বাকি খেলোয়াড়রা তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারে কি না। আজকের ম্যাচে অভিজ্ঞ মরগানের বিপরীতে তার তারুণ্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকল।