লড়াইটা দুই অধিনায়কেরও

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আজ জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে ইতোমধ্যেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ায় হারানোর কিছু নেই আফগানদেরও। বাংলাদেশের বিপক্ষে নাইবদের এই চাপহীন মনোভাবই বড় প্রতিপক্ষ মাশরাফিদের। তাই বলা যায়, আজ ব্যাটে বলের দ্বৈরথ ছাড়িয়ে লড়াই হতে পারে দুই অধিনায়কের রণকৌশলেও

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১২:৫৯

অনলাইন ডেস্ক
একজনের এটাই শেষ বিশ্বকাপ, আরেকজনের অধিনায়ক হিসেবে এবারই সবে শুরু। আজ রোজ বলে দুই দলের ব্যাটে বলের লড়াই ছাড়িয়ে দ্বৈরথ হতে পারে মাশরাফির অভিজ্ঞতা আর নাইবের নির্ভারতার মধ্যেও। মাশরাফির ব্যক্তিগত অর্জন কম নয়। আসরে দলগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ টাইগার কাপ্তানই। এ বিশ্বকাপে বোলার হিসেবে মাশরাফির ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে ব্যাপক। তবে তিনি আমাদের মাশরাফি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে উইকেট শূন্য থাকলেও দারুণ বল করে এবং নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়ে সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনি। তার নেতৃত্বেই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলে টাইগাররা। এ ছাড়া তার হাত ধরেই একদিনের ম্যাচেরর্ যাঙ্কিংয়ে একলাফে সাতে উঠে আসে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারার পর দল যখন খাদের কিনারায় তখনও এই মাশরাফিকে সামনে রেখেই স্বপ্ন দেখছে টাইগার ভক্তরা। সবার প্রত্যাশা আফগানদের উড়িয়ে দিয়ে শেষ চারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবে টাইগাররা। গুলবাদিন নাইবের নেতৃত্বে অনেক বুক ভরা স্বপ্ন নিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আফগানরা। তবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারা এবং ব্যাটসম্যান আর ফিল্ডিংয়ে দুর্বলতা তাদেরকে পিছিয়ে রেখেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দারুণ এক লড়াই করার পর হার মানে আফগানরা। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বৃষ্টি জয় থেকে ছিটকে দিলেও আফগানরা নাইবের নেতৃত্বেই এবারের বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখে। তবে গুনে গুনে ৬টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো জয় খরা কাটাতে পারে নি আফগানরা। এ নিয়ে আফগান কাপ্তান নাইবের চাপ থাকলেও তাদের বাকি তিনটি ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ বাংলাদেশই। তাই এ ম্যাচেই জয় খরা কাটাতে মরিয়া নাইবরা। আর এ জয় কেবল আসতে পারে কাপ্তান নাইবের কৌশলী নেতৃত্বেই। এছাড়া ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দলের সংকট মুহূর্তে হাল ধরার সক্ষমতা রয়েছে নাইবের। ভারতের বিপক্ষে ব্যাটে বলে আলো ছড়িয়ে যা আবারও প্রমাণ করেছেন তিনি। আর তাই আজকের ম্যাচের ভাগ্য দুই অধিনায়কের রণকৌশলেও।