ভালো-খারাপ উভয় সময়ই আমাদের বাংলাদেশের পাশে থাকা উচিত

রাসেল মাহমুদ জিমি। দেশের হকি অঙ্গনের অন্যতম তারকা। নিজের যোগ্যতায় পরিচিত হলেও তার আরেকটি পরিচয় আছে। সেটি হলো তিনি স্বনামধন্য হকি খেলোয়াড় আব্দুর রাজ্জাক সোনা মিয়ার সুযোগ্য পুত্র। এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময়ে জিমি ব্যস্ত জাতীয় দলের ক্যাম্পে। তাই খেলা দেখার তেমন একটা সুযোগ মিলছে না। তবে সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ দলের ম্যাচ দেখার চেষ্টা করছেন। বিশ্বকাপের খোঁজ-খবরও রাখছেন। তার চোখে বাংলাদেশ দল ভালো করছে এবং সেমিতেও খেলবে এমনটাই প্রত্যাশা। তবে দল খারাপ করলে অনেকেই নেতিবাচক সমালোচনা করে। যেটি মোটেই ভালো লাগেনি জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকারের। ভালো মন্দ উভয় সময়ই নিজের দেশকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানান জিমি। দৈনিক যায়যায়দিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জিমি জানালেন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা। যাযাদি পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো-

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১৩:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাসেল মাহমুদ জিমি
যাযাদি: বিশ্বকাপ ক্রিকেট কি দেখা হচ্ছে? জিমি: এবারের বিশ্বকাপটা তেমন একটা দেখার সুযোগ পাচ্ছি না। আগামী মাসে (১৫ জুলাই) থাইল্যান্ডে এশিয়ান ইনডোর হকি চ্যাম্পিয়নশিপ। সে জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে আছি। বাংলাদেশ দলের ম্যাচ হলে সেটি দেখার চেষ্টা করি। কয়েকটি ম্যাচের অংশ বিশেষ দেখেছি। যাযাদি: কেমন উপভোগ করছেন খেলা? জিমি: টিমম্যাটদের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলার কিছু অংশবিশেষ দেখেছি। অনেক মজা হয়েছে। আড্ডা দিয়েছি। হৈহুলেস্নাড় করেছি। যাযাদি: যতটুকু দেখা হয়েছে এবারের আসরে বাংলাদেশকে কেমন দেখছেন? জিমি: বাংলাদেশের বর্তমান দলটির মধ্যে লড়াকু মনোভব আছে। তারা যখন ভালো খেলেছে সবাই উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু দুটি ম্যাচ হারার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে কয়েকজন ক্রিকেটারের তীব্র সমালোচনা হয়েছে। যা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। একজন খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলে। সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই অবস্থায় কখনোই সে ইচ্ছা করে খারাপ খেলে না। আমাদের উচিত সেটি না করে ভালো এবং মন্দ উভয় সময়ই খেলোয়াড়দের পাশে থাকা। তাদের সমর্থন দেয়া। যাযাদি: বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড়কে আপনার বেশি ভালো লাগে? জিমি: সাকিব আল হাসান। এবারের বিশ্বকাপে সে যে পারফরম্যান্স করছে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সেই 'পেস্নয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট' হবে। তার সেই যোগ্যতা অবশ্যই আছে। তাকে অনেক আগে থেকেই চিনি। বিকেএসপিতে ও আমার তিন ব্যাচ জুনিয়র ছিল। তার এই পারফরম্যান্সে আমি মোটেই অবাক হইনি। কারণ সে এ রকম পারফরম্যান্স বহু বছর ধরেই করে আসছে। যাযাদি: বাংলাদেশের সেমিতে খেলার কতটুকু সম্ভাবনা দেখছেন? আমাদের দেশ ছাড়া আর কোন তিন দল সেমিতে খেলবে বলে আপনি মনে করেন? জিমি: একজন বাংলাদেশি হিসেবে অন্যদের মতো আমারও প্রত্যাশা বাংলাদেশ সেমিতে খেলবে। অন্য তিন দলের মধ্যে আমার মনে হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের সামর্থ্য আছে শেষ চারে খেলার। যাযাদি: এবারের বিশ্বকাপের বৃষ্টি প্রসঙ্গে কিছু বলুন। জিমি: বৃষ্টির উপর তো আসলে কারো হাত নেই। তবে আমার মনে হয় পরিত্যক্ত ম্যাচগুলো যদি অনুষ্ঠিত হতো বিশ্বকাপটা দর্শকরা আরও বেশি উপভোগ করতে পারত।