ক্রিকেটের তীর্থভূমি

লর্ডসের যত জানা-অজানা

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অন্যতম লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বয়স প্রায় ২০৫ বছর। বিশ্বের সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে লর্ডসের মাটিতে শতক হাঁকানো বা উইকেট নেয়ার। এই মাঠে সেঞ্চুরি করলে বা ৫ উইকেট নিলেই যে নাম উঠে যায় অনার্স বোর্ডে। যেকোনো খোলোয়াড়ের জন্যই যা সম্মানের

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

মৃদুল মিনহাজ
ক্রিকেটের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিচারে একটি মাঠ বিশেষভাবে সমাদৃত। অনেকের কাছেই যেটা তীর্থভূমি বলে পরিচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অন্যতম লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বয়স প্রায় ২০৫ বছর। বিশ্বের সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে লর্ডসের মাটিতে শতক হাঁকানো বা উইকেট নেয়ার। এই মাঠে সেঞ্চুরি করলে বা ৫ উইকেট নিলেই যে নাম উঠে যায় অনার্স বোর্ডে। যেকোনো খোলোয়াড়ের জন্যই যা সম্মানের। ১৭৮৭ সালে প্রথম মাঠ লর্ডস ওল্ড গ্রাউন্ড বর্তমানে ডরসেট স্কয়ার নামে পরিচিত। দ্বিতীয় মাঠ লর্ডস মিডল গ্রাউন্ড ১৮১১ থেকে ১৮১৩ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরে রিজেন্টস ক্যানেলের জন্য পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানের লর্ডস মাঠটি মিডল গ্রাউন্ডের উত্তর-পশ্চিমাংশের ২৫০ গজ দূরে অবস্থিত। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ্বে গ্যালারির অধিকাংশ স্ট্যান্ড পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৭ সালে নতুন মাউন্ড স্ট্যান্ড স্যার মাইকেল হপকিন্সের নকশায় তৈরি করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে নিকোলাস গ্রিমশয়ের নকশায় গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়। মাঠের বর্তমান মিডিয়া সেন্টারটি ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ফিউচার সিস্টেমসের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। মিডিয়া সেন্টারটি ১৯৯৯ সালে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টসের শ্রেষ্ঠ নির্মাণশৈলীর জন্য স্টার্লিং পুরস্কার পায়। মাঠের বর্তমান দর্শক ধারণক্ষমতা ৩২,০০০। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের পিচের নামকরণ করা হয়েছে প্যাভিলিয়ন এন্ড, অন্যদিকে মিডিয়া সেন্টার বরাবর উত্তর-পূর্ব প্রান্তে রয়েছে নার্সারি এন্ড। এবারের বিশ্বকাপে গ্রম্নপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ এই তীর্থভূমিতেই মাঠে নামবে টাইগাররা। এর আগে ২০০৫ ও ২০১০ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট খেললেও এই প্রথম লর্ডসের মাঠে ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে শাহাদাত হোসেন আর ২০১০ সালে সেই ইংলিশদের বিপক্ষেই শতক হাঁকিয়ে তামিম ইকবাল নাম তুলে রেখেছেন লর্ডসের সম্মানিয় অনার্স বোর্ডে। দুটি বিশ্বকাপের সঙ্গেও আলাদা একটা সম্পর্ক আছে এই স্টেডিয়ামটির। এবারের আসরসহ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মোট আসর বসেছে ১২টি। যার মধ্যে এবারের ফাইনালসহ এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্বাধিক ৫টি ফাইনাল। এর চেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনের গৌরব আর কোনো মাঠেরই নেই। এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ আর ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় লর্ডসে।