এএফসি কাপ

নকআউট পর্বেও আশাবাদী আবাহনী

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এএফসি কাপের নকআউট পর্বে নাম লেখানো বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব ঢাকা আবাহনী। ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি ইন্টার জোন সেমিফাইনালে ইতোমধ্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ নামক ক্লাবটিকে। বাংলাদেশের কোন ক্লাবের জন্য এ ধরনের প্রতিপক্ষ অবশ্যই কঠিন। তবে আত্মবিশ্বাসি আবাহনী জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলবে নকআউট পর্বে জানিয়েছেন ক্লাবটির ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। টুর্নামেন্টের আসিয়ান অঞ্চলের নকআউট পর্বে উত্তর কোরিয়ার এ ক্লাবের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি ম্যাচ খেলবে আবাহনী। সেমিফাইনালে প্রথমে হোম ম্যাচ খেলবে ঢাকা আবাহনী। ২১ আগস্ট ম্যাচটি হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। এরপর পিয়ংইংয়ে ২৮ আগস্ট এ্যাওয়ে ম্যাচ। ২০১৭ সালে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে রাজত্ব করেছে ভারতের বেঙ্গালুরু এফসি। এবার তাদের পিছনে ফেলে এশিয়ান ফুটবলে নতুন রাজত্ব গড়েছে আবাহনী। এএফসি কাপ ২০১৯-র প্রথম পর্বে ৬ ম্যাচে ৪ জয়, ১ ড্র আর ১ হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে 'ই' গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয় দেশের একমাত্র প্রতিনিধিরা। বিপরীতে গ্রম্নপ পর্বে ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে মাত্র এক ম্যাচ হেরেছে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটির বিপক্ষে জয় পেতেই আশাবাদী পেশাদার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নামার আগে কি প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা আবাহনী? জানতে চাইলে ক্লাবের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেছেন, 'প্রস্তুতি চলছে। লিগের খেলা চলছে। সেটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এএফসি কাপ খেলতে হচ্ছে। লিগ ম্যাচগুলোই আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে কাজ করবে।' এএফসি কাপের গ্রম্নপ পর্বে খেলতে গিয়ে এবার আবাহনীকে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছে। ভারতে খেলতে যাবার আগেই দলের অন্যতম নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার ভিসা নিয়ে সমস্যা হয়েছে। একবার সেই সমস্যা কাটিয়ে ভারতে খেলতে পারলেও শেষ ম্যাচে আর সেটি সম্ভব হয়নি সানডের পক্ষে। এএফসি কাপের নক আউট পর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তো এ জাতীয় সমস্যায় পড়তে হতে পারে আবাহনীকে। এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে আবাহনী? একেক দেশের অভিবাসন আইন একেক রকম। ভারতের ক্ষেত্রে সম্ভব না হলেও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া আমরা এএফসির সঙ্গেও এ বিষয়ে আগেই কথা বলে রেখেছি।' যখন টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম ৪৩ দল নিয়ে শুরু হয়েছিল। এখন ৮ দলের লড়াই। আমাদের লক্ষ্য ধাপে ধাপে এগুনো। লড়াইটা যখন এক থেকে আটের মধ্যে তখন প্রতিপক্ষ যেই হবে কঠিনই হবে। তবে নক আউট পর্বে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। আবশ্যই জয়ের জন্যই খেলব।' এছাড়া ইন্টার জোন সেমিফাইনালে আসিয়ান জোনের বিজয়ী দল খেলবে তুর্কেমিনিস্তানের আলটিন আসির এর বিপক্ষে। আসিয়ান জোনের ফাইনালে লড়বে দুই ভিয়েতনামের ক্লাব- হ্যানয় এবং বিনা দুয়োং। ইন্টার জোন সেমিফাইনালে বিজয়ী দু'দল খেলবে ইন্টার জোন পেস্ন্লঅব ফাইনাল। এই ম্যাচের জয়ী দল চলে যাবে এএফসি কাপের ফাইনালে। ফাইনালে ওয়েস্ট জোনের একটি দল থাকবে। ওয়েস্ট জোনের ফাইনালের পেস্ন্ল-অফে মুখোমুখি হবে জর্ডানের আল জাজিরা ও লেবাননের আল আহেদ। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২ নভেম্বর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টিকিট পেতে দুই পর্বে জয় চাই আবাহনীর। অর্থাৎ ইন্টার জোন সেমিফাইনাল ও ইন্টার জোন পেস্ন্লঅব ফাইনালে জিততে হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।