সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইয়র্কারের বিনিময়েই পানি মিলত বুমরাহর! ক্রীড়া ডেস্ক ইয়র্কার দিতে পারদর্শী জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে শ্রীলংকান গ্রেট লাসিথ মালিঙ্গার চেয়ে কোনো অংশে কম যান না ভারতের এ তারকা পেসার। চলতি বিশ্বকাপে তার প্রমাণও দিয়েছেন বুমরাহ। কিন্তু কী ভাবে ইয়র্কারে সিদ্ধহস্ত হলেন বুমরাহ? বুমরাহর ইয়র্কার দেয়ার দক্ষতা অর্জনের নেপথ্যের কাহিনী জানালেন তার বাল্যকালের ক্রিকেট কোচ কিশোর ত্রিবেদী। রাত-দিন হাড়ভায়া পরিশ্রম করেই নিখুঁত ইয়র্কার দেয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছেন বুমরাহ। তার কোচ ত্রিবেদিই দিলেন সে খবর। এ নিয়ে ত্রিবেদী বলেন, 'ইয়র্কারটা বাল্যকাল থেকে দিতে পারত বুমরাহ। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বন্ধ হতো না তার বোলিং অনুশীলন। উইকেটের ওপর একটি কয়েন রেখে ছেলেদের ফেলতে বলতাম সবাইকে। বুমরাহর চেয়ে বেশি কেউ কয়েন ফেলতে পারত না। অন্তত ৩০-৩৫ বার সে কয়েন ফেলে দিত।' শিষ্যের পারফরম্যান্সে খুশি হন ত্রিবেদী। পরে বুমরাহকে নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে অনুশীলন শুরু করেন। শর্ত ছিল ৩৫টি নিখুঁত ইয়র্কার দিলেই মিলবে পানি। তার আগে নয়। বুমরাহ সেটাই করত মুখে হাসি নিয়ে। টানা ৩০-৩৫টি ইয়র্কার দিয়েই পানি পান করত সে। তবে বুমরাহর রানআপটা আরো দীর্ঘ ছিল। কিন্তু তাতে নো বল হওয়ায় তা কমিয়ে দেন ছোট্টবেলার এ কোচিং গুরু, 'বুমরাহর বোলিং পারফরম্যান্স দেখে তাজ্জব বনে যেতাম। রোগা চেহারায় বলে যেমন জোর! তেমন নিখুঁত। কিন্তু বড় রানআপ নিয়ে নো বল দিয়ে ফেলত। তাই রানআপ কমানোর পরামর্শ দিয়েছি ওকে।' চলতি বিশ্বকাপে ইয়র্কার দিয়ে ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করেছেন বুমরাহই সবচেয়ে বেশি। ৭ ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যে নিজের থলেতে পুরেছেন ১৪ উইকেট। ছোট ম্যাচেও গোলবন্যা ক্রীড়া প্রতিবেদক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে নিচের সারির দুই দল নোফেল স্পোর্টিং আর টিম বিজেএমসি। কিন্তু ছোট এই দুই দলের ম্যাচেও গোলবন্যা হয়েছে বৃহস্পতিবার। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের একমাত্র ম্যাচটিতে সব মিলে হয়েছে ৭টি গোল। নোফেল স্পোর্টিং ৪-৩ গোলে হারায় তলানির দল টিম বিজেএমসিকে। নোফেলের ইসমাইল বাঙ্গুরা হ্যাটট্রিক করেন। এই জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান এবং রহমতগঞ্জকে পেছনে ফেলে দুধাপ এগিয়ে নবম স্থানে উঠে এলো নোফেল স্পোর্টিং। টেবিলের ১৩তম স্থানে থাকা বিজেএমসির ৮ পয়েন্ট। অনুশীলনে মুশফিকের চোট ক্রীড়া প্রতিবদক গত ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের এবারের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি তাই হয়ে গেছে কেবলই আনুষ্ঠানিকতা আর মর্যাদার লড়াই। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে শেষটায় সাফল্য নিয়ে ঘরে ফেরার একটা তাড়না তো থাকছেই। কিন্তু এমন এক ম্যাচের আগে দুশ্চিন্তা বাংলাদেশ শিবিরে। আজ শুক্রবার লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। যেকোনো ক্রিকেটারের মনেই এই ঐতিহাসিক মাঠে খেলাটা আলাদা রোমাঞ্চ তৈরি করে। এই মাঠেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল টাইগার উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের। এখানে এখনো পর্যন্ত দেশের হয়ে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে আজকের ম্যাচে মুশফিককে নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের শেষ অনুশীলনে চোট পেলেন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। নেটে অনুশীলনের সময় তার কনুইয়ে আঘাত করে বল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুশীলনে নামে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় নেটে ব্যাটিংয়ে যান তারা। সচরাচর প্রথম সেশনেই ব্যাটিংয়ে চলে যান মুশফিক। এ দিনও তেমনটাই হয়েছিল। কিন্তু বেশিক্ষণ ব্যাটিং করতে পারেননি। তার ডান হাতের কনুইয়ে বল আঘাত করে। চোট পাওয়ার পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বলের আঘাতে তাকে কাতরাতে দেখা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে ছুটে যান ফিজিও। সেখানে চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। বাংলাদেশের ম্যাচে আড়াইশ শিক্ষার্থী ক্রীড়া ডেস্ক লর্ডসে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটার এখন কার্যত খুব একটা মূল্য নেই সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে। তবু দুই দেশের সমর্থকরা হয়তো পুরো স্টেডিয়ামটাই ভরিয়ে ফেলবেন। স্টেডিয়ামের সবপ্রান্ত ভরপুর থাকলেও এমসিসির সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত গ্যালারিতে হয়তো থাকবেন না খুব বেশি দর্শক। কম দর্শকে এমসিসির 'ভাবমূর্তি' যেন নষ্ট না হয়, এজন্যই শুক্রবারের ম্যাচে ২৫০ জন স্কুলশিক্ষার্থীকে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে এমসিসি। এই বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মতো টিকিটের দাম দিয়ে খেলা দেখতে হচ্ছে এমসিসি সদস্যদের। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে অবশ্য এমসিসির সদস্যদের জন্য বরাদ্দ গ্যালারি পূর্ণই ছিল। তবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি শুক্রবারে হওয়ায় বাড়তি ৪৫ পাউন্ড গুনতে হবে সদস্যদের। আজকের ম্যাচের ৫০ শতাংশ টিকিটই বিক্রি হয়নি এমসিসি সদস্যদের মাঝে। এমসিসির গ্যালারি যেন ফাঁকা না লাগে, সেটার বিকল্প ব্যবস্থাও নিয়েছেন ল্যাভেন্ডার। ওয়েস্টমিনিস্টারের বিভিন্ন স্কুলেল ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে সেখানে বসে খেলার দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে এমসিসি। যারা খেলা দেখতে আসবে, তাদের স্কুলের পোশাক পরা থাকতে হবে, সাথে থাকতে হবে শিক্ষককে। এমসিসির অন্য সদস্যদের টাই পরা বাধ্যতামূলক হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল থাকবে।