তীব্র চেষ্টার অভাব দেখছেন সাকিব

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এজবাস্টনে মঙ্গলবার ভারতের কাছে ২৮ রানে হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালে খেলার আশাটুকু শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। আর তাই আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। এবারের বিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশ? শেষ দিন পর্যন্ত সেমিফাইনালের আলোচনায় থাকাকেই অর্জন ভাবছেন অনেকে। কিন্তু ভারতের কাছে হারের পর সাকিব আল হাসান ভাবছেন অন্যভাবে। যে লক্ষ্য নিয়ে তারা বিশ্বকাপে এসেছিলেন তা যে পূরণ হয়নি, স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকি লক্ষ্য পূরণে সবার আরেকটু তীব্র চেষ্টার অভাবও দেখছেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে ৩১৫ রান তাড়া করে ২৮৬ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। পুরো টুর্নামেন্টে অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা সাকিব ওইদিনও দলের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ৬৬ রান। তার ব্যাটে একটা সময় ভারতকে চেপে ধরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। পরে হারলেও তাই প্রশংসা পাচ্ছে টাইগাররা। কিন্তু এসব প্রশংসা আবার উলটো গা জ্বলুনি দিচ্ছে সাকিবকে। ম্যাচ শেষে সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন 'যথেষ্ট ভালো আমরা খেলেছি বটে, কিন্তু যথেষ্ট ভালোই আমরা খেলতে চাইনি, আমরা চেয়েছি জিততে। সেটা সম্ভব হয়নি। এত বড় টুর্নামেন্টে যে আশা নিয়ে আমরা এসেছিলাম তা পূরণ করতে পারলাম না, সেদিক থেকে হতাশাজনক। ছোট ছোট কিছু জিনিস ঠিক করতে পারতাম তাহলে হয়তো ম্যাচের ফল ভিন্ন হতো।' আজ লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কোন ব্যথা নিয়ে নামবে বাংলাদেশ। কোন তাড়নায় সর্বোচ্চ নিংড়ে দেবেন তারা? সাকিব এই জায়গা ছেড়ে দিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। বরং সব আশা শেষ হওয়ার পর সাকিবের মনে হচ্ছে আরেকটু তীব্র চেষ্টার দরকার ছিল তাদের, 'জানি না পরিকল্পনা কি হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। অধিনায়ক, কোচ সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কীভাবে খেলতে চান, সেভাবে আমাদের খেলতে হবে। তবে একটা জিনিস বলতে পারি সবাই চেষ্টা করছে, সবাই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের আরেকটু মরিয়াভাবে চেষ্টা করা উচিত ছিল। তাহলে শেষ চারে আমাদেরও খেলার সম্ভাবনা থাকত।' এবারের বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া দলের সিনিয়রদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদও মাঝেমধ্যে ভালো ইনিংস খেলেছেন। তামিম ইকবাল আর মাশরাফি বিন মর্তুজা ছিলেন একেবারেই বিবর্ণ। আর তাই কারোর নাম না নিয়েই মাঠের প্রয়োগটা নিয়ে আফসোস সাকিবের, 'আমার মনে হয় কোনো কোনো সময় এপিস্নকেশন আরও ভালো হলে আমরা ভালো অবস্থায় যেতে পারতাম। সেটা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব দিকে। হঁ্যা পুরো বিশ্বকাপে হয়তো অনেক ইতিবাচক দিক আছে। কিন্তু ওইগুলা বলে আর কোনো লাভ নাই। কারণ দিনশেষে সবাই ফলটাই দেখতে চায়।' একটি দুটি করে এরইমধ্যে আটটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। হাতে বাকি আছে আর একটাই। কিন্তু এই পর্যন্ত যা খেলা হয়েছে তাতে আগের সব বিশ্বকাপের সাফল্যকে ছাপিয়ে না যাওয়ার জন্য ভীষণ আফসোস হচ্ছে সাকিবের, ২০১১, ২০১৫ আর ২০১৯ এই তিন বিশ্বকাপে আমরা মাত্র তিন ম্যাচ করে জিতেছি। তফাৎ হচ্ছে এই বিশ্বকাপে আমরা ধারাবাহিকভাবে অনেক ভালো খেলেছি। এর থেকে বেশি কিছু বলব না। কারণ আমার মনে হয় এর থেকে বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা সেটা শেষ পর্যন্ত করতে পারিনি।'