দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে কথার লড়াই

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অজিদের বিপক্ষে আমাদের আগের ভুলগুলো করলে হবে না। আমাদের সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে। তারা নতুন বলে বেশ ভালো বোলিং করে থাকে। তাই ব্যাট করতে নেমে আমাদের আগে উইকেট হারালে চলবে না
ইংল্যান্ডকে বধ করার মন্ত্র জানেন মিচেল স্টার্ক ক্রীড়া ডেস্ক গতবারের বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। দুই দলের ম্যাচে এমনিতেই একটা ঝাঁজ থাকে, মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে। আগামী বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালের মহারণে নামার আগে অজি পেসার মিচেল স্টার্ক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইংলিশদের বিপক্ষে তাদের জেতার পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে। দারুণ উত্তেজনা আর রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচ হবে বৃহস্পতিবার এজব্যাস্টনে, এমনটাই মনে করেন স্টার্ক। তিনি এও জানান, ইংল্যান্ডের প্রথম কয়েকটা উইকেট তাড়াতাড়ি তুলে নেয়াই মূল লক্ষ্য তাদের। ক্রিকেটের কুলীন দুই প্রতিদ্বন্দি এই বিশ্বকাপের গ্রম্নপ পর্যায়ের ম্যাচ খেলেছে লর্ডসে। ইংল্যান্ডকে ২৮৫ রানের টার্গেট দিয়ে ২২১ রানে তাদের অলআউট করে দেয়। শুরুতেই ওপেনার জেমস ভিন্সকে আউট করে দেয় অজিরা। ৫৩ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারিয়ে খেই হারায় ইংল্যান্ড। তেমন কিছু এজব্যাস্টনেও ঘটবে, এটাই কি বলতে চাইছেন স্টার্ক? সেই ম্যাচে ৪৩ রানে চার উইকেট নেয়া স্টার্ক বলেন 'কিছুদিন আগে গ্রম্নপ ম্যাচে যেমন শুরুর উইকেটগুলো তুলে নিয়েছিলাম আমরা। এবারও তেমন কিছুই আশা করছি'। স্টার্ক আরো যোগ করেন 'জেসন রয় নিশ্চয়ই সেমিতে খেলবে। ওর জন্য আলাদা করে ছক ভেবেছি আমরা।' গ্রম্নপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কছে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা শুরুতে উইকেট তুলে নিতে না পারায় কাজটা প্রোটিয়ারা বড় স্কোর গড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার মোট ৩২৫ রানের মধ্যে ২৮১ রানই আসে তাদের টপ অর্ডার থেকে। জবাবে ডেভিড ওয়ার্নার (১২২) ও অ্যালেক্স কেরির (৮৫) প্রাণপণ চেষ্টার পরও ১০ রানে হারে অস্ট্রেলিয়া। 'আমরা সেদিন যা খেলেছি তার থেকে অনেক ভালো খেলার ক্ষমতা আছে আমাদের। কিন্তু সেদিন মাঝের ওভারগুলোতে ওদের কোনোভাবেই থামাতে পারিনি আমরা। অথচ তখনই উইকেটের দরকার ছিল সব থেকে বেশি।' দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি হারাতে হয় অজিদের। ফলে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে পেয়েছে প্রতিপক্ষ হিসেবে। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে হবে বলে মোটেও চিন্তিত নন স্টার্ক, 'বিশ্বকাপ জিততে হলে সবদলকেই হারাতে হবে, সেটা সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডই হোক বা ফাইনালে ভারত। ভালো দলগুলোকে হারাতে না পারলে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখার কোনো অধিকারই নেই কারো' বলেন স্টার্ক। রুটের প্রেরণা ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপ ক্রীড়া ডেস্ক বিশ্বকাপে নিজেদের ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার হাতছানি ইংল্যান্ডের। আর সেই বাধা পার হতে তাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। ইংল্যান্ডের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জো রুট অবশ্য দারুণ আশাবাদী ফাইনালে খেলার ব্যাপারে। ফাইনালে যেতে দলকে অতীত থেকে প্রেরণার রসদ খুঁজে নিতে বলছেন তিনি। তিন বছর আগে ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল তারা। আর সেই দলটির আটজন আছে বর্তমান বিশ্বকাপ দলে। যাদের ওপর ভর করেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চূড়ান্ত পর্বে গিয়েছিল ইংলিশরা। তাই রুট মনে করেন, 'আমরা টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারি। সেই দলটির আট জন খেলোয়াড় এবার বর্তমান দলে আছে। তাদের বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বর্তমানে আমরা ভালো অবস্থানেও আছি। যেখানে প্রচন্ড চাপের মুখে খেলতে হচ্ছে আমাদের। তবে আশা করছি ঠিকমতো খেলতে পারলে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।' লর্ডসে রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। ১১ জুলাই বার্মিংহামে সেই ভুলগুলো করতে চায় না ইংল্যান্ড। আগের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার কথা বলে সতর্ক করে দিলেন সতীর্থদের, 'অজিদের বিপক্ষে আমাদের আগের ভুলগুলো করলে হবে না। আমাদের সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে। তারা নতুন বলে বেশ ভালো বোলিং করে থাকে। তাই ব্যাট করতে নেমে আমাদের আগে উইকেট হারালে চলবে না। যদি শুরুটা ভালো করতে পারি তাহলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারব।' অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে কথার লড়াইটাও কম হয় না। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইটা শুরু করেছিলেন অজি স্পিনার নাথান লায়ন। দ্বিতীয় সেমিতে ইংল্যান্ড ফেভারিট, অস্ট্রেলিয়া আন্ডারডগ; লায়ন বলেছিলেন এমনটাই। এজবাস্টনের সেমির আগে অস্ট্রেলিয়ানদের এসব কথায় একদমই পাত্তা না দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতিতেই মন দিতে চান রুট, 'লায়ন অনেক সময়ই অনেক কথা বলেছে। এসবে আসলে পাত্তা দিয়ে লাভ নেই। অস্ট্রেলিয়ানদের এসব বহু বছর ধরেই চলে আসছে। যখন আপনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবেন, তখন এরকম কথা হবেই। এভাবেই তারা নিজেদের প্রস্তুত করে। সত্যি বলতে আমি এসবের মাঝে নিজেকে জড়াতে চাই না। মাঠে ও মাঠের বাইরে একটু আধটু কথার লড়াই হবেই। নিজেদের প্রস্তুত করার ব্যাপারেই বেশি মনোযোগী আমি।'