বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তনে খুশি শামি

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দুই স্পিনার। এটাই ছিল ভারতের বোলিং লাইন আপ। দারুণ খেলছিলেনও তারা। তাই মূল একাদশে জায়গাই হচ্ছিল না মোহাম্মদ শামির। হঠাৎ ভুবনেশ্বর কুমারের ইনজুরিতে জায়গা পেয়ে যান তিনি। আর ফিরেই অসাধারণ বোলিং করছেন এই পেসার। আর এমন প্রত্যাবর্তনে দারুণ খুশি তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শামি। মূলত ফিটনেসে ঘাটতি র কারণে দলে জায়গা হয়নি তার। তবে অনেকটা ভাগ্য ক্রমেই বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলে তার। কারণ বল হাতে ভালো করছিলেন ভুবনেশ্বরও। তার ইনজুরি না হলে সহসা হয়তো একাদশ পরিবর্তন করত না ভারত। আর ফিরেই এক-দুই করে চারটি ম্যাচ খেলে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় এই ডানহাতি পেসার। এমন প্রত্যাবর্তনের পর দারুণ খুশি শামি বললেন, 'আমি ব্যর্থ ছিলাম এটা ঠিক। তবে একটা জিনিস সত্যি আমি আমার ফিটনেসে উন্নতি করেছি। এখন আমি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছি। আমি ওজন কমিয়েছি। এবং ভালো ছন্দে আছি। সবকিছু ভালো চলছে। আমি আমার ছন্দ ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এবং এটা খুব দারুণ অনুভূতি। আর স্কিল নিয়ে বলবো, আমি নিজেকে নিয়ে সবসময় আত্মবিশ্বাসী।' আর ফেরার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শামি। পরের তো আরও দুর্দান্ত। আগের দিন উইন্ডিজের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বড় রান সংগ্রহ করতে পারেনি ভারত। ২৬৮ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে শুরুতেই উইকেট প্রয়োজন ছিল তাদের। শামির হাত ধরে তা মিলেও যায়। দুই ওপেনারকেই ফেরান শামি। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান দানব গেইলকে ফেরালে আত্মবিশ্বাস পায় দলটি। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে একই তাঁবুতে খেলায় তার সম্পর্কে বেশ ভালো জানেন শামি। ক্রিস গেইলকে আউট করার সে ব্যাখ্যাও দেন শামি, 'ক্রিস এবং আমি আইপিএলে একত্রে খেলেছি একই দলে। একবার খেললে তাহলে আপনার কিছু ধারণা থাকে। আমি একটা জিনিস ভেবেছি যদি আমি তার হাত খুলতে না দেই তাহলে খুব ভালো হবে। কারণ এক সময় সে জোর করে এটা করতে যাবে। তাই সেদিন ম্যাচে সেদিন আমার বলে ঠিকভাবে না খেলতে পেরে মিডঅনে ধরা পড়েন ক্রিস।' এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে আরও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরলেন শামি। ইয়ন মরগানের দলের বিপক্ষে একে-একে তুলে নিলেন পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। যদিও সেদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রানটা একটু বেশি দিলেও এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের চার ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা এখন ১৪টি। বিশ্বকাপে এমন চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের নিজেকে নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত শামি, 'যেখানে দলে সুযোগই পাচ্ছিলাম তারপরও এমন পারফরম্যান্সে খুশি না হয়ে উপায় কি আর আছে। বাকি ম্যাচগুলোতে যদি সুযাগ পায় তাহলে দলের জন্য নিজের সর্বস্বটুকু উজাড় করে দেয়ার চেষ্টাটাই থাকবে আমার মাঝে। প্রথম চার ম্যাচের মতো পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও সাফল্যের ধারবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।'