সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকাপ ফরম্যাট নিয়ে গাঙ্গুলির প্রশ্ন! ক্রীড়া ডেস্ক চলতি বিশ্বকাপে একরকম একক আধিপত্যই বিস্তার করে খেলেছে ভারত। মাত্র ১ হারে সেমিফাইনালে পৌঁছানো। অনেকেরই ধারণা ছিল সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে পাত্তাই পাবে না নিউজিল্যান্ড। কিন্তু বুধবার সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে মাত্র ২৩৯ রানকে সঙ্গী করেই ভারতকে ১৮ রানের লজ্জা উপহার দেয় কিউইরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিতে ভারতকে তারা হারিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনালের টিকিট। আসরজুড়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললেও তাই হতাশায় মুষড়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বিরাট কোহলির দল। ভারতের হারের পরেই তাই বিশ্বকাপের এই ফরম্যাট নিয়ে উঠে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। আইপিএলের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, 'কিছু একটা ভাবা দরকার। আইপিএলের প্রক্রিয়াটা বেশ ভাল। প্রথম দুই দল দুটি করে সুযোগ পায়। একটা বাজে দিন এভাবে ভালো খেলা একটি দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় দিতে পারে না।' হারের পর টিম ইন্ডিয়ার ভক্ত-সমর্থকরা স্বভাবতই হতাশ। ক্ষতবিক্ষত তাদের হৃদয়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরাহের ওপর তাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু মাঠে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই অনুজ্জ্বল তারা। মাঠ থেকে বেরোনের সময় তাই ক্ষুব্ধ ভারতীয়দের প্রশ্নবাণে পড়েন গাঙ্গুলি। সেখানে বর্তমান দলের প্রশংসা করে সমর্থকদের সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি ভারতকে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলা গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, 'কোহলিরা ভালো খেলেছে। গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এক দিনের খারাপ ক্রিকেটে বিদায় নেয়াটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। সত্যিই হতাশজনক।' এদিকে বিশ্বকাপের আগেই ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর পজিশন নিয়ে চিন্তায় ছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কখনো বিজয় শঙ্কর, কখনো লোকেশ রাহুল, কখনো বা রিশভ পন্তকে তারা এই জায়গায় খেলিয়েছে। কিন্তু বারবার এই পরিবর্তন দলের ক্ষতি করল কি? সৌরভের মতে, 'এটা ঠিক করে ফেলা উচিত ছিল আগেই। যার কথাই ভাবি না কেন, তাকে এক বছর ধরে খেলিয়ে তৈরি করা উচিত ছিল বিশ্বকাপের জন্য।' ধোনিও কাঁদতে জানেন ক্রীড়া ডেস্ক মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার? না-কি আরও কম? জীবনে কতবার বাইশ গজে এমন তীব্র গতির দৌড়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। কিন্তু এবার আর পারলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। পারলেন না ভারতকে ফাইনালে তুলতে। রাজা ধোনির শেষটাও হলো না রাজার মতো করে। মাঠ ছেড়ে মাথা নিচু করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কঠিন পরিস্থিতিতেও বরাবরই নির্বিকার ধোনিও সামলাতে পারলেন না আবেগের স্রোত। দর্শকরা দেখল, ক্রিজ ছাড়ার সময় তার চোখে জল। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ধোনিও কাঁদতে জানেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচটা নিশ্চিতভাবেই মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ। কিন্তু শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচও কি-না তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকল। ঘটা করে বিদায় না নিলেও এই ম্যাচটা ধোনির শেষ ম্যাচ হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না। ফাইনালে যেতে ১১ বলে লাগত ২৫ রান। লুকি ফার্গুসেনের লেগ স্টাম্পের উপর কোমর সমান উচ্চতায় লাফানো বল কোনো রকমে স্কয়ার লেগে ঠেলেই দৌড় ধোনির। এক রানকে ক্যারিয়ারে কতবারই দুই রান বানিয়েছেন। এই মাপজোকের কারণে এই জায়গায় তিনি দুনিয়া সেরা। কিন্তু আসল জায়গায় মাপজোকটা হয়ে গেল বড্ড গড়বড়। না-কি অতিমানবীয় থ্রোতে ঠিকঠাক গতিও ভড়কে দিলেন স্কয়ার লেগে থাকা মার্টিন গাপটিল? সেমিতে ফেদেরার নাদাল রোমাঞ্চ ক্রীড়া ডেস্ক সর্বশেষ ২০০৮ সালে রজার ফেদেরার বনাম রাফায়েল নাদালের ধুন্ধুমার লড়াই দেখেছিল উইম্বলডন। সেবার মহাকাব্যিক এক লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছ থেকে গ্র্যান্ড স্স্নাম কেড়ে নেন নাদাল। পরে কেটে গেছে ১১টি বছর। বাকি তিন গ্র্যান্ড স্স্নামে একাধিকবার মুখোমুখি হলেও এই মহারথীদ্বয়ের লড়াই দেখার সৌভাগ্য বঞ্চিত ছিল উইম্বলডন। সেই অপেক্ষা ফুরোচ্ছে। আবারও ঘাসের কোর্টে রোমাঞ্চ ছড়ানোর অপেক্ষায় ফেদেরার-নাদাল। শুক্রবার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন ফেদেরার ও নাদাল। ঘাসের কোর্টে এটি দুজনের তৃতীয় লড়াই আর সবমিলিয়ে ৪০তম। সেমির পথে জাপানি কেই নিশিকোরিকে ৪-৬, ৬-১, ৬-৪, ৬-৪ সেটে হারিয়েছেন ৮ বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার। আর মার্কিন স্যাম কুয়েরি ৭-৫, ৬-২, ৬-২ সেটে পাত্তাই পাননি দুবারের চ্যাম্পিয়ন নাদালের কাছে। এনিয়ে উইম্বলডনে ১৩ ও সবমিলিয়ে ৪৫ বারের মতো গ্র্যান্ড স্স্নাম সেমিফাইনাল খেলতে নামবেন সুইস কিংবদন্তি ফেদেরার। আর স্প্যানিশ নাদালের এটি সপ্তম ও সবমিলিয়ে ৩২তম গ্র্যান্ড স্স্নাম সেমি। আরেক সেমিতে মুখোমুখি হবেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচ ও স্পেনের ২৩তম বাছাই রবের্তো বাতিস্তা। এর আগে দুবার রবের্তোর মুখোমুখি হয়েছেন সার্বিয়ান জোকোভিচ, হেরেছেন প্রতিবারই। বিশ্বকাপে শচিনের রেকর্ড অক্ষত ক্রীড়া ডেস্ক মেলবোর্নে গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে শুরু, চলমান বিশ্বকাপে লিডসে শ্রীলংকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিতে ক্রিকেট গ্রেট শচিন টেন্ডুলকারের ৬টি বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিকে স্পর্শ করেছিলেন রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের এক আসরে (২০০৩) শচিনের ৬৭৩ রানের যে রেকর্ডটি এখনো এভারেস্ট শৃঙ্গে ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই রেকর্ডটিও ছিল ভীষণ হুমকির মুখে। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। ২৭টি রানের ইনিংস খেলতে পারলেই শচিনের সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারতেন রোহিত। তবে ২০০৩ বিশ্বকাপে শচিনের ওই রেকর্ড তো দূরে থাক, ২০০৭ বিশ্বকাপে হেইডেনের ৬৫৯ রানকেও স্পর্শ করতে পারেননি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ (৫টি) সেঞ্চুরির মালিক। কিউই পেস বোলার ম্যাট হেনরির অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে রোহিত মাত্র এক রানের মাথায় দিয়েছেন ক্যাচ। আর তাতেই থেমেছেন রোহিত ৬৪৮ রানে। ফলে টিকে গেছে শচিনের আগের রেকর্ডটি। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়াসন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিতকে ভালই চেনেন। তাইতো রোহিতের দুর্বলতাও তার জানা আছে। রোহিতকে বিপজ্জনক হওয়ার আগে ফিরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আছে তার এবং টিম ম্যানেজমেন্টের। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন তা। রোহিত শর্মার এমন ধারাবাহিকতা সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের জন্য বড় হার্ডল, তা বলতে দ্বিধা করেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন-? রোহিত এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ ব্যাটিং করছে। কিন্তু, আমরা জানি, আমরা একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ। সন্দেহ নেই দুই দলই শুরুতে উইকেট নিতে চাইবে।'