দুই সেমির দুই নায়কের কথা

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

মো. ফখরুল ইসলাম
ক্রিস ওকস
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দিয়ে সেমিফাইনাল পর্বের সমাপ্তি দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। গত ৩০ মে শুরু হওয়া এবারের আসরের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি। স্বাগতিক ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের। এর মধ্যেই ক্রিকেটবিশ্ব কতশত অর্জন আর ব্যর্থতার সাক্ষী হয়েছে। গ্রম্নপ পর্বের পর ফেবারিট হিসেবেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড শেষ চারে জায়গা করে নেয়। তবে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় চমকটা দেখা গেল সেমিতে এসেই। কেউ হয়তো ভাবতে পারেনি একদিনের ব্যবধানে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এই দুই দলের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। কিন্তু তাই ঘটেছে। আসরের প্রথম সেমিফাইনালের নায়ক নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি। আসরে কিউইদের প্রথম ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন ম্যাট হেনরি। পরের ম্যাচে পেয়েছিলেন চার উইকেট। এরপর থেকে আর সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছন্দে ফিরলেন এই পেসার। দলকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিং করে জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। এদিন ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেয়ার সময় হেনরি জানান, মাঝারি পুঁজি নিয়ে জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তারা। আমাদের বিশ্বাস ছিল- আমরা জানতাম যে, আমাদের ভালো বল করতে হবে। অবশ্যই তারা বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান আমরা জানতাম, ম্যাচ জিততে তাদের আউট করতে হবে। ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্টের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ভর করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে, আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এদিন বল হাতে শুরুটা করেন ম্যাচের প্রথম বলে চার হজম করে। দ্রম্নতই ঠিক করে নেন নিজের লাইন, লেংথ। গতি, বাউন্স আর সুইংয়ে বেঁধে দেন সুর। সংগত করলেন অন্যরাও। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস ওকস। ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ওকস। পুরস্কার নেয়ার সময় এই অলরাউন্ডার জানান, অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে স্নায়ুচাপও জয় করতে হয়েছে তাদের। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। দলের এটা অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। শুরুটা হয়েছিল বোলিং দিয়ে আর ওরা যেভাবে ম্যাচ শেষ করে এসেছে, এটা অসাধারণ। স্নায়ুচাপ ছিল, ড্রেসিংরুমে কেউ কেউ চিন্তিত ছিলেন, বড় একটা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তা স্বাভাবিক। ওকস আর নতুন বলে তার সঙ্গী জোফ্রা আর্চারের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।