ফাইনালে লোকে লোকারণ্য লর্ডস

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
অন্যদিন যেখানে হলে সিট পাওয়াই দায়, দাঁড়িয়েই থাকতে হয় বেশির ভাগ সময়। রোববার সেখানে উঠেই সিট মিলল। একবার লাইন পাল্টে ডিস্ট্রিক্ট থেকে জুবিলি লাইনের ট্রেন ধরে লর্ডসের সবচেয়ে কাছের পাতাল রেলস্টেশন সেন্ট জোন্স উডসে নামতেই 'চক্ষু চড়ক গাছ।' শয়ে শয়ে মানুষ। লন্ডনের এ প্রান্ত, ও প্রান্ত থেকে আসছেন। সেন্ট জোন্স উডসে রোববার সকাল ৯টার আগেই অন্যরকম প্রাণচাঞ্চল্য। মানুষের ঢল। সবার গন্তব্য লর্ডস। এর মধ্যে চোখে পড়ল টিকিটের আকুতি। এক কিউই ভদ্রলোক সেন্ট জোন্স উডের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, গলায় লেখা ছোট্ট একটি পস্ন্যাকার্ড- 'আমি একজন অন্তঃপ্রাণ নিউজিল্যান্ড সাপোর্টার। আমার একটি টিকিট চাই।' ঠিক উল্টো দিকে এক বাবা দাঁড়িয়ে। তার কাঁধের ওপর ৭-৮ বছরের শিশু। তার হাতেও লেখা, 'আমাকে একটা টিকিট দেবেন?' সেন্ট জোন্স উড থেকে পায়ে হাঁটা পথ লর্ডস। সাড়ে ৭০০ গজের মতো এলাকা। এর মধ্যে শুধু মানুষ আর মানুষ। সবারই গন্তব্য লর্ডস। কেউ ইংলিশ। কেউবা কিউই। আবার কিছু অস্ট্রেলিয়ানও চোখে পড়ল। উৎসব করব। আনন্দ-উলস্নাসে মেতে উঠব। খুশির ফলগুধারাও বইবে; কিন্তু হৈ-হুলেস্নাড় কম। চিৎকার-চেঁচামেচিও হবে যৎসামান্য। মোট কথা, উৎসব-পার্বণের মাঝেও বাড়তি আবেগ-উচ্ছ্বাস চেপে রেখে যতটা সম্ভব পরিমিত বোধ কাজ করে। সংক্ষেপে এটাই ইংলিশদের বৈশিষ্ট্য। এটাই তাদের সংস্কৃতি। ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসের মিডিয়াকর্মী বিশেষ করে ফটো জার্নালিস্টদের আনুসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং তাদের কাজকর্মের সমন্বয়কারী টনি আগের দিনই জানিয়েছিলেন, 'আমাদের মানে ইংলিশদের উচ্ছ্বাস-উলস্নাস আর আবেগের বহিঃপ্রকাশ কম, তবে উৎসাহ-উদ্দীপনা ঠিকই আছে। দেখ! খেলা দেখতে ১৪ জুলাই ঠিকই মাঠে যাবে আমাদের ভক্ত ও সমর্থকরা।' টনির কথাই ঠিক। আগভাগে হৈ চৈ ছিল না তেমন। সাড়া শব্দও ছিল কম। কিন্তু রোববার বৃষ্টিভেজা সকালেও ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে উপস্থিত হাজার হাজার ইংলিশ। অবশ্য ভাবার কারণ নেই, যারা ফাইনাল দেখতে এসেছেন, তারা সবাই ইংলিশ এবং ইংল্যান্ডের সমর্থক। লর্ডসে উপস্থিত ৩০ হাজার দর্শকের অর্ধেক ইংলিশ আর বাকি অর্ধেক ভারতীয়, বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি।