হল অব ফেমে শচিন-ডোনাল্ড

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার স্মারক হাতে ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস শচিন টেন্ডুলকার -ওয়েবসাইট
ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ডকে স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ক্রিকেটের শীর্ষ সংস্থার হল অব ফেমে অভিষিক্ত হলেন তারা। বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক জমকালো আয়োজনে তাদের সঙ্গে স্বীকৃতি দেয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী ফাস্ট বোলার ক্যাথরিন ফিটসপ্যাট্রিককে। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর অন্তত পাঁচ বছর পার হলেই কোনো খেলোয়াড়কে অভিষিক্ত করা হয়। ২০১৩ সালের নভেম্বরে শেষ ম্যাচ খেলেন শচিন। সুনীল গাভাস্কার, বিশান সিং বেদি, কপিল দেব, অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড়ের পর ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখালেন শচিন। অসংখ্য রেকর্ডে সমৃদ্ধ শচিন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ার। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছেন দুইশ টেস্ট। টেস্টে করেছেন প্রায় ১৬ হাজার রান। ওয়ানডেতে ১৮ হাজার রানের বেশি। দুই সংস্করণেই তার রান সর্বোচ্চ। অংশ ছিলেন ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ী শচিন বললেন, 'আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অভিষিক্ত হতে পারা দারুণ সম্মানের ব্যাপার, যেখানে প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটারদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। খেলার বিকাশ ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে তারা সব ধরনের অবদান রেখেছে এবং আমি এর অংশ হতে পেরে খুশি।' ডোনাল্ড ২০০৪ সালে সব ধরনের ফরম্যাট থেকে অবসর নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা বোলারদের কাতারে থাকবেন তিনি সবসময়। দেশটির হয়ে ৩০০ টেস্ট ও ২০০ ওয়ানডে উইকেট নেয়া প্রথম বোলার তিনি। এক দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ৬০২ উইকেট শিকার করা ডোনাল্ড চমকে গেছেন, 'বড় ধাক্কা লাগবে যখন আপনি এমন ইমেইল খুলে দেখবেন যে সেখানে বলা হচ্ছে- অভিনন্দন অ্যালান ডোনাল্ড, আপনি আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অভিষিক্ত হয়েছেন। এমন তথ্য ধাক্কা দেয়ার মতো, কারণ এটা সম্মানজনক একটা পুরস্কার এবং এটাকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই বিশাল সম্মানের জন্য আইসিসিকে ধন্যবাদ জানাই।' আর অষ্টম নারী ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফেমে জায়গা পেলেন ক্যাথরিন ফিটসপ্যাট্রিক। ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার দুটি বিশ্বকাপ জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। পরিচিত ছিলেন নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে গতিময় পেসার হিসেবে। এমনকি পরে কোচ হিসেবেও বেশ সফল ফিটসপ্যাট্রিক। তার অধীনে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া নারী দল একটি বিশ্বকাপ ও দুটি টি২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে।