বসুন্ধরার হারে জমে উঠল লিগ

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঢাকা আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের একটি দৃশ্য -বাফুফে
ঘরোয়া ফুটবলের সব থেকে জনপ্রিয় আসর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। অন্যান্য মৌসুম থেকে এবারের আসর একটু ব্যতিক্রম। কারণ এবার ঢাকার গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন ভেনু্যতে হয়েছে খেলা। সেই সঙ্গে ১৩ দলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে একের পর এক জয়ে শিরোপার প্রায় কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু শনিবার শেখ রাসেলের কাছে তাদের প্রথম হার আবারও জমে উঠেছে লিগ। কারণ এখনো শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর। দুই দলের মধ্যে মাত্র চার পয়েন্টের ব্যবধান। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শিরোপা উৎসব করার প্রস্তুতি নিয়ে যখন ২১তম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বসুন্ধরা। সেই ম্যাচেই কিনা শেখ রাসেলের বিপক্ষে প্রথম হারের তেতো স্বাদটা পেতে হলো ঘরোয়া ফুটবলে কাগজে কলমের সব থেকে সেরা দলটিকে। তাদের এই হারে আশা বাড়লো ঢাকা আবাহনীর। কারণ ২২ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট তাদের। বসুন্ধরার অন্তত আরেকটি হার বা ড্র'তে বদলে যেতে পারে সব হিসাব-নিকাশ। শেষের দুই ম্যাচে জয় পেলে আবাহনীর হবে ৬০ পয়েন্ট। শিরোপা রেসে তারাই কিংসদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এবার। প্রিমিয়ার লিগে চলছে বিরতি। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে ২৪তম রাউন্ডের খেলা। এই রাউন্ডে বসুন্ধরা কিংস খেলবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। শেখ রাসেলের ম্যাচের পর ঐ ম্যাচটিও হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে। কারণ ২১ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করা কিংসরা এই ম্যাচটিতে জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের শিরোপা। কারণ তাহলে তাদের মোট সংগ্রহ হবে ৬১ পয়েন্ট। আর যদি ম্যাচটি ড্র হয় বসুন্ধরার হবে ৫৯ পয়েন্ট। সে ক্ষেত্রেও সুযোগ থাকবে আকাশি-নীলদের। তবে যা কিছুই হোক না কেন। সব মিলে কিন্তু বসুন্ধরার পালস্নাই ভারী। ২৩ রাউন্ড শেষে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বসুন্ধরা কিংসকে একমাত্র হার উপহার দেয়ার কৃতিত্বটি তাদেরই। কাগজে-কলমে এখন পর্যন্ত রানার্স আপ হওয়ার সুযোগ আছে রাসেলেরও। তাদের হাতে আছে আর তিন ম্যাচ। তবে আবাহনীর সঙ্গে তাদের যে গোলপার্থক্য। তাতে করে সেটি প্রায় অসম্ভবই বটে। চতুর্থ স্থানে থাকা সাইফ স্পোর্টিংয়ের ৪১ পয়েন্ট। তারাও খেলেছে রাসেলের সমান ২১টি ম্যাচ। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। তারা খেলেছে মোট ২২ ম্যাচ। এই হলো ২৩ রাউন্ড শেষে সেরা ৫ এ থাকা দলের অবস্থা। মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে গত আসরের রানার্স আপ দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। অষ্টম স্থানে থাকা মুক্তিযোদ্ধারও সমান ২৩ পয়েন্ট। তবে গোলগড় তাদের নামিয়ে দিয়েছে একধাপ নিচে। নবম স্থানে থাকা মোহামেডানেরও একই পয়েন্ট। এই তিনটি দলই খেলেছে ২১টি করে ম্যাচ। তাই লিগের এই মধ্যম স্থানেও থাকা দলগুলোর মধ্যেও জমে উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রায় একই অবস্থা অবনমনের শঙ্কায় পড়া দলগুলোর মধ্যেও। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রহমতগঞ্জ আর ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন যে একেবারে নিরাপদ তাও বলা যাচ্ছে না। তবে সব থেকে বেশি বিপজ্জনক স্থানে আছে নোফেল আর টিম বিজেএমসি। যথাক্রমে ১১ ও ১২তম অবস্থানে থাকা দল দুটি ১৬ ও ৮ পয়েন্ট।