সমালোচনার জবাব দিলেন ক্রুস

আমার মনে হয়েছিল, জামাির্নতে অনেকে খুশি হতো, যদি তারা আমাদের ছিটকে দিতে পারত

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮, ২৩:৩৯

ক্রীড়া ডেস্ক
সোচিতে শনিবার ম্যাচের প্রথমাধের্ জামাির্ন গোল হজম করেছে টনি ক্রুসের ভুলে। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূতের্ ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন জামাির্নর এই মিডফিল্ডার। শেষ মুহূতের্ জামাির্নকে জয়সূচক গোল এনে দেয়ার পর নিজ দেশের সমালোচকদের এক হাত নিয়েছেন ক্রুস। রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার মনে করেন, তার গোলটি হতাশ করেছে সমালোচকদের, যারা বিশ্বাস করেছিল, রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রæপ পবর্ থেকে ছিটকে পড়বে জামাির্ন। জামাির্ন-সুইডেন ম্যাচের তখন অন্তিম মুহূতর্। রেফারি শেষ বঁাশি বাজাতে বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন। এ সময় সুইডেনের বক্সের ডান প্রান্তে ফ্রিকিক পেল জামাির্ন। ক্রুসই সেটি নিতে গেলেন। পাশে মাকোর্ রেউস দঁাড়াতেই আন্দাজ করা গিয়েছিল, কোনো একটা ফন্দি আছে। সেটা বোঝা গেল খানিক পরই। শট নেয়ার আগে রেউসকে দিয়ে ক্রুস বলটা এমনভাবে বানিয়ে নিয়েছেন যে সুইডিশ ‘মানবদেয়াল’-এ যেন না বাধে। তাদের ডান পাশ দিয়ে বলটা বাতাসে বঁাক নিয়ে আশ্রয় নিল জালে! এদিনের ম্যাচে জয়টা জামার্নদের জন্য ছিল পরম আকাক্সিক্ষত। ড্র হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা কঠিন হয়ে যেত জামার্নদের। মেক্সিকোর কাছে হেরে রাশিয়ার আসর শুরু করা জামাির্নর সুইডেনের বিপক্ষে জয়ে নকআউট পবের্ যাওয়ার আশা টিকে থাকল। স্বস্তির জয় পাওয়ার পর সমালোচকদের দারুণ জবাব দিলেন ক্রুস, ‘আমার মনে হয়েছিল, জামাির্নতে অনেকে খুশি হতো, যদি তারা আমাদের ছিটকে দিতে পারত; কিন্তু আমরা এটা তাদের জন্য এত সহজ হতে দিচ্ছি না। আমাদের সহজে রাস্তায় ফেলে দেয়া যাবে না।’ বঁাচা-মরার এমন ম্যাচে ক্রুস দেখালেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটপিস থেকে সুইডিশ বক্সে বল না ফেলে তিনি বল মেরেছেন সোজা গোলে। নিজের ওপর কতটুকু আত্মবিশ্বাস থাকলে একজন ফুটবলার এমন কিছু করতে পারেন! অথচ ম্যাচের প্রথমাধের্ একপযাের্য় এই ক্রুসকেই দেখা গেছে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে। সুইডেন এগিয়ে গিয়েছিল তারই ভুলে। ৩২ মিনিটে অলা তইভনেনের সেই গোলের আগে পাস দিতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেছিলেন ক্রুস। সেই সুযোগে মাকার্স বাগর্ থেকে ভিক্টর ক্লাসেন হয়ে বলটা পান তইভনেন। ক্রুস নিজের এই ভুলটা স্বীকার করে নিয়েছেন। ভুলের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘অবশ্যই প্রথম গোলটা (সুইডেনের) আমার ভুলে। ম্যাচে চার শর মতো পাস খেললে দু-একটা ভুল হবেই। শেষ পযর্ন্ত সেটা শুধরে নেয়া হয়েছিল, তাই না? যাই হোক, আমি আমার ভুলটা মেনে নিচ্ছি।’