স্মিথের ব্যাটে লড়ছে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এজবাস্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন স্টিভেন স্মিথ -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক এজবাস্ট টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু অ্যাশেজের দ্বিতীয় ইনিংসে তারা আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে। যদিও বার্মিংহামের আলোকস্বল্পতার কারণে একটু আগেভাগে শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনের খেলা। তবে চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৪১ রানের লিড নিয়েছে টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়া। পরে সেই লিডটাকে ২৪১১ রানে নিয়ে গেছেন তারা। শেষ পর্যন্ত স্মিথের (১৪২*) ও ম্যাথু ওয়েডের (৬৯*) রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ৩৩১ রান করেছে অজিরা। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের লিডটা ফুলেফেঁপে উঠতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়া ঠিকই, তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে দ্রম্নত উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল দলটি। সেখান থেকে টেনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা এই ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করার পর হাল ধরেছেন আবারও। চতুর্থ দিনের লাঞ্চে যাওয়ার আগে ৯৮ রানে স্মিথ এবং তার সঙ্গী ম্যথু ওয়েড ক্রিজে ছিলেন ১৫ রানে। পরে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন সাবেক অজি অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার ২৮৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করে ৩৭৪ রান। ৯০ রানের লিড নিয়ে ইংল্যান্ড ভালোই শুরু করেছিল। কিন্তু স্মিথ দাঁড়িয়ে যান। তার লড়াকু ইনিংসে ৩ উইকেটে ১২৪ রানে শনিবারের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। চতুর্থ দিনের সকালে আগের দিনের ২১ রান করা ট্র্যাভিস এদিন হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরই ফিরে যান সাজঘরে। অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিনের সকালে এই একটিমাত্র উইকেট খুইয়েছে। এর আগে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৭) ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট (৮)। ২৭ রানের মধ্যে তাদের বিদায়ের পর উসমান খাজা ও স্মিথ মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। সেখানে মারমুখী ভূমিকায় ছিলেন খাজা। ৪৮ বলে ৪০ রান করা এই বাঁহাতিকে ফেরান বেন স্টোকস। এরপর হেডের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে দিন শেষ করেন স্মিথ। আলোস্বল্পতায় নির্ধারিত ওভারের আগেই খেলা বন্ধ হয়। দিনের শুরুতে অজি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। দ্রম্নত ফেরেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান। হাফসেঞ্চুরি করে (৫০) প্যাট কামিন্সের শিকার হন স্টোকস। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো ররি বার্নসকে (১৩৩) বিদায় করেন নাথান লায়ন। টিকতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলিও। ফলে ১৮ রানের মধ্যে পতন হয় দলটির ৪ উইকেট। তাতে ইংল্যান্ডের লিডটা ছোট রাখার আশা দেখতে থাকে অজিরা। তবে নবম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড। ২৯ রান করা ব্রডকে বিদায় করেন কামিন্স। এরপর জেমস অ্যান্ডারসনকে দ্রম্নত ফেরান লায়ন। ওকস অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে।