এখনো জিম্বাবুয়ের অপেক্ষায় বিসিবি

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের কিছু নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছু সংশয় তৈরি হয়েছিল। তাদের ক্রিকেট বোর্ড আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল যে বিষয়টি তারা মানিয়ে নিতে পারবে বা সিরিজে অংশ নিবে। আমরা আশা করছি দ্রম্নত তাদের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা আমরা পাব

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক আগামী মাসেই জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু আইসিসির সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গতিপথ অনিশ্চিত। ঝুলে আছে আগামী মাসে তাদের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরও। তবে এই জটিলতার মধ্যেও বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে- এমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা ও প্রশাসনে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে গত ১৯ জুলাই আইসিসি জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করে। মূলত আইসিসির অনুদানের অর্থের যথোপযুক্ত ব্যবহার না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। স্থগিতাদেশের আওতায় আছে আইসিসির অনুদান আপাতত বন্ধ রাখা ও জিম্বাবুয়ের কোনো দল আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে না পারা। বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা অন্য টুর্নামেন্টে খেলতে তাই দৃশ্যত বাধা নেই। তবু কোনো আইনগত জটিলতা আছে কি না, সেটি নিয়েই দুই দেশের বোর্ড কাজ করছে বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে সফরের জন্য গুছিয়ে ওঠার ব্যাপারও আছে জিম্বাবুয়ের। তবে আলোচনা যতটুকু হয়েছে, তাতে জিম্বাবুয়ে আসবে বলে প্রবলভাবেই আশাবাদী বিসিবি, মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন প্রধান নির্বাহী, 'আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচি অনুযায়ী আফগানিস্তানের যে সফরটি ছিল একটি টেস্ট ও টি২০ সিরিজের, জিম্বাবুয়ের অনুরোধে সেটিকে আমরা একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ করার সিদ্ধান্ত নেই গত আইসিসি মিটিংয়ে। এখন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের কিছু নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছু সংশয় তৈরি হয়েছিল। তাদের ক্রিকেট বোর্ড আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল যে বিষয়টি তারা মানিয়ে নিতে পারবে বা সিরিজে অংশ নিবে। আমরা আশা করছি দ্রম্নত তাদের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা আমরা পাব।' আইসিসির স্থগিতাদেশের কারণে জিম্বাবুয়ের খেলায় অংশ নেয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করলেন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী, 'ম্যাচের স্ট্যাটাস নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। যেটা হয়েছে, তারা আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না। জিম্বাবুয়ের বোর্ড তাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলছে, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিরিজটি 'অন' রাখার। আমাদের সাথে সর্বশেষ যে কথা হয়েছে, তারা বলেছে যে সিরিজটি 'অন' আছে। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে ওদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারব।' জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত না এলে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজটি রূপ নেবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। তবে জিম্বাবুয়েকে আরও একটি কারণে চায় বিসিবি। জিম্বাবুয়ে এলে টি২০ টুর্নামেন্ট শেষে তাদের সঙ্গে একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ। সেই সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায়ী আয়োজন করার ভাবনা আছে বিসিবির। যদিও তারা এটি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেননি মাশরাফির সঙ্গে। মাশরাফি নিজেও অবসর নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন অনেকবারই। যদিও নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন, এ কথা নিজেই স্বীকার করেছেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু বয়স যা, তাতে ক্রিকেট ছাড়ার খুব কাছে চলে এসেছেন তিনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটি ভালো যায়নি মাশরাফির। আট ম্যাচে উইকেট মিলেছে মাত্র একটি। এমনকি পুরো ফিটও ছিলেন না। এরপর থেকেই তার অবসর নিয়ে গুঞ্জনটা জোরালো হয়। বিসিবিও বিষয়টি আমলে নেয়। এ নিয়ে ভক্তদেরও আগ্রহের শেষ নেই। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত আসে। জিম্বাবুয়ের আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেলে হয়তো এগোবে সেই আলোচনা। আপাতত সেপ্টেম্বরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের নতুন আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে, সেটি মোটামুটি এক প্রকার নিশ্চিত। ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ হলে সেটি হবে টেস্টের পর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি হলে সেটি হবে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে।