অনিশ্চয়তার মুখে শেখ কামাল ক্লাব কাপ

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক চট্টগ্রাম আবাহনী আয়োজিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ এবারও হবে। কিন্তু কবে হবে? আয়োজকরা চেয়েছিল অক্টোবরে টুর্নামেন্ট করতে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে ২০ থেকে ৩০ নভেম্বর; কিন্তু এ সময়েও টুর্নামেন্ট হবে কি না তা নিশ্চিত নয় আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীই। তারিখ নিয়ে নতুন সমস্যাটা তৈরি হয়েছে ভারতের দুই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের জন্য। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও কোনো জবাব পায়নি চট্টগ্রাম আবাহনী। যে কারণে টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করতে পারছে না চট্টলার আকাশি-হলুদরা। তারিখ নিয়ে জটিলতা কাটাতে চট্টগ্রাম আবাহনীর কর্মকর্তারা আর চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। তারা সরাসরি ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পাক্কা কথা নিয়ে আসতে চান। এজন্য চট্টগ্রাম আবাহনী এবং টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক সাইফ পাওয়ারটেকের তিন কর্মকর্তা শুক্রবার কলকাতা যাচ্ছেন। তারা সেখানে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তারিখ ঠিক করবেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী আগেই বলেছিলেন তারা ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ছাড়া টুর্নামেন্ট করতে চান না। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার এবং শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের কো-অর্ডিনেটর শাকিল মাহমুদ চৌধুরীও বললেন একই কথা, 'আমরা ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ছাড়া টুর্নামেন্ট করব না।' ভারতের এই দুটি ক্লাবকে গুরুত্ব দেয়ার কারণ হলো তাদের রাখতে পারলে টুর্নামেন্ট জমে। যে কারণে আগের মতো শুধু চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সেখানে গিয়ে তাদের রাজি করাতে চান চট্টগ্রাম আবাহনীর কর্মকর্তারা। ভারতের এই দুই ক্লাবের সময় সুযোগমতোই টুর্নামেন্টের তারিখ নির্ধারণ করতে চায় চট্টগ্রাম আবাহনী। সে তারিখ অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানানো হবে অন্যদের। সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের কো-অর্ডিনেটর শাকিল মাহমুদ চৌধুরীসহ ৩ জন কলকাতা যাচ্ছেন দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার জন্য। টুর্নামেন্টের এবারের আসরটি ৮ দল নিয়ে আয়োজন করতে চায় চট্টগ্রাম আবাহনী। এর মধ্যে ৫টি বিদেশি এবং তিনটি বাংলাদেশের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, রানার্সআপ আবাহনী এবং আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশের। ভারতের ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ছাড়াও অন্য তিন দলের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে ৫টি দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, নেপাল ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যে কোনো তিনটি ক্লাবকে চট্টগ্রামের টুর্নামেন্টের জন্য আনার চেষ্টা চলছে। এবার অংশগ্রহণকারী দলগুলো ফি পাবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার করে। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। রানার্সআপ দলের পুরস্কারের পরিমাণটা হতে পারে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর বসেছিল ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ৩ মার্চ। প্রথম টুর্নামেন্ট হয়েছিল ২০১৫ সালের ২০ থেকে ৩০ অক্টোবর। বিদেশি ক্লাবগুলো পাওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে টুর্নামেন্টের সময় নির্দিষ্ট রাখতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্যই স্মরণীয় এক আয়োজন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে তারাই হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী হারিয়েছিল ভারতের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে। দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে উঠতে পারেনি স্বাগতিকরা। সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার দল এফসি পচেয়নের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় চট্টগ্রামের আকাশি-হলুদ জার্সিধারীরা। দ্বিতীয় আসরের ট্রফি নিয়ে যায় মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস। ১২০ মিনিটের ফাইনালে তারা ৪-২ গোলে হারায় দক্ষিণ কোরিয়ার এএফসি পচেয়নকে।