বিসিসিআইয়ের সমালোচনায় সৌরভ

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির দায়িত্বে আছেন রাহুল দ্রাবিড়। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া সিমেন্টেরও ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে আছেন তিনি। যারা কিনা আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের মালিকানায় আছে। দ্রাবিড়ের এই দুই পদ নিয়ে স্বার্থের সংঘাত খুঁজে পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তাইতো বিসিসিআইয়ের ন্যায়পাল ও এথিক্স অফিসার জিকে জেইন সাবেক এই ক্রিকেটারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না সৌরভ গাঙ্গুলি। সাবেক সতীর্থকে নোটিশ দেয়ায় টুইটারে ক্ষোভ ঝেরেছেন তিনি। গত সপ্তাহে স্বার্থের সংঘাত হতে পারে এক সঙ্গে এমন দুটি পদে থাকা নিয়ে দ্রাবিড়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বিসিসিআইয়ের এথিক্স কর্মকর্তা নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে দ্রাবিড়কে সময় দেয়া হয়েছে দুই সপ্তাহ। আর এই খবর রটে যাওয়ার পর নিজের টুইটারে সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন সৌরভ। টুইট করে তিনি দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক দশা নিয়েও হতাশার ইঙ্গিত দেন, 'দ্রাবিড়কে স্বার্থের সংঘাতের নোটিশ পাঠাল বিসিসিআই। ভারতের ক্রিকেটে এই এক নতুন ফ্যাশন...স্বার্থের সংঘাত, খবরে থাকার ভালো উপায়। ভগবান ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করুন।' আর সেই টুইটেই সৌরভকে সমর্থন জানিয়ে বিষয়টির সমালোচনা করেন দ্রাবিড়ের আরেক সতীর্থ হরভজন সিংও। অবশ্য বিসিসিআইর এমন অবস্থান নতুন নয়। এর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা শচিন টেন্ডুলকারকেও সতর্ক করা হয়। কারণ শচিন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে থাকার পাশাপাশি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একইরকম দ্বৈত ভূমিকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ভিভিএস লক্ষ্ণণও। উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে এক ব্যক্তির স্বার্থ সংঘাতময় একাধিক পদে থাকার নজির অহরহ। বাংলাদেশে যেমন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হয়েও খালেদ মাহমুদ সুজন বিপিএলের দলেরও কোচ থাকেন, দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় দলের ম্যানেজার, অন্তর্বর্তীকালীন কোচের পদও। বিসিবির নীতিনির্ধারক থেকেও ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেডকে কোচিং করান মাহমুদ। তা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রশ্নের মুখে পড়লেও কখনো বিসিবির উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো প্রশ্ন আসেনি।