নরউইচকে উড়িয়ে লিভারপুলের হুঙ্কার

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গোল করার পর সতীর্থের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করছেন সালাহ -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক শুরু হয়ে গেল ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় আসর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০১৯-২০১০ মওসুম। উদ্বোধনী ম্যাচেই আরও একটি জমজমাট আসরের জন্য প্রস্তুত বলে বার্তা দিল লিভারপুল। অবনমন থেকে ফেরা নরউইচ সিটিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে গত আসরের রানার্সআপ লিভারপুল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাতে এ টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলে পক্ষে গোলের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ, ভারজিল ফন ডাইক ও দিভোক ওরিগি। অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরুর মিনিট কিছুটা হলেও ছন্দহারা ছিল লিভারপুল। তবে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে খেলায় ফিরতে খুব একটা দেরি করেনি ইংলিশ জায়ান্টরা। শুরুতেই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে পিছিয়ে যায় নরউইচ। খেলার ৭ মিনিটেই ওরিগির ক্রস ফেরাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন নরউইচ দলপতি হ্যানলি। ১৯ মিনিটে ফিরমিনোর পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ সালাহ। এতে টানা তিন মওসুমে লিভারপুলের প্রথম ম্যাচেই গোল করার কীর্তি গড়লেন মিশরীয় ফুটবল সম্রাট। টানা তিন মওসুমে শুরুর ম্যাচে গোল করার কীর্তির পথে নেয়া মোহাম্মদ সালাহ'র শট ২৮ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন ভারজিল ফন ডাইক। সালাহ'র কর্নারে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান এ ডাচ ডিফেন্ডার। আর ৪২ মিনিটে দিভোক ওরিগি লক্ষ্যভেদ করলে ৪-০ গোলে বিরতিতে যায় লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি ইয়ুর্গান ক্লপের দল। উল্টো ৬৪ মিনিটে নরউইচের পক্ষে সান্ত্বনাসূচক এক গোল শোধ দেন তিমু পুক্কি। দ্বিতীয় বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উন্নীত নরউইচ এ গোলের সুবাদে পরের ম্যাচে অনুপ্রেরণা পাবে। এমন জয়ের দিনেও লিভারপুলের জন্য ধাক্কা হয়ে এসেছে গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের ইনজুরিতে পড়া। প্রথমার্ধের শেষ হওয়ার সাত মিনিটে আগে গোল-কিক নিতে গিয়ে ডান পায়ে টান লাগে অ্যালিসনের। খানিক পরেই মাঠ ছাড়েন এ ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। দর্শক ও উত্তেজনার মাপকাঠিতে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ফুটবল লিগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় প্রিমিয়ার লিগকে। কেন? গত কয়েক বছরে দলগুলোর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তার প্রমাণ। গত মওসুমে ৯৭ পয়েন্ট পেয়েও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি লিভারপুলের। মাত্র এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে ম্যানচেস্টার সিটি। এবার শুরু ম্যাচেই শিরোপা লড়াইতে প্রস্তুতির ঘোষণা দিল অল রেডরা।